এবার ফ্রান্সের পার্লামেন্টে দক্ষিণ পন্থিদের ভোট ছাড়াই পাশ হল নতুন বিল। এর ফলে দেশটির অভিবাসন আইনে কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আগের চেয়ে কয়েক গুণ কঠিন হলো ফ্রান্সের অভিবাসন আইন। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) যে শরণার্থী বিল পার্লামেন্টে পাশ হয়েছে, সেখানে অভিবাসন সংক্রান্ত নিয়মে কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে। এমনকি ছাড় দেওয়া হয়নি শিশুদেরও।
এই বিল নিয়ে আলোচনার সময় দলের ভিতরেই সমালোচিত হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ। তিনি দক্ষিণ পন্থিদের কাছ থেকে যে সাহায্য পেয়েছিলেন সেটিকে ঘিরেই এই সমালোচনা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষে বিলটি পাশ করানোর সময় তিনি নিজের দল পাশেই দাঁড়িয়েছেন।
ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও মঙ্গলবার আনন্দ প্রকাশ করেছেন। আইনটি নিয়ে পার্লামেন্টে তীব্র বিতর্কের আশঙ্কা করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ পন্থিদের সমর্থনের প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবেছিলেন তিনিও। মঙ্গলবার দৃশ্যত খুশিই দেখিয়েছে তাকে।
আইনটির খসড়া পার্লামেন্টে একাধিকবার বদলেছে। বামপন্থিদের বক্তব্য, অতি দক্ষিণ পন্থিদের চাপে বিলটি বার বার বদলানো হয়েছে। শরণার্থীরা রেসিডেন্সি পারমিট আগে যত সহজে এবং দ্রুত পেতেন, নতুন আইনে তা আর পাওয়া যাবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো দেশ থেকে আশা শরণার্থীর জন্য বহু নিয়ম এখনো আগের মতোই থাকবে। কিন্তু শরণার্থী ইইউ-র না হলে ফ্রান্সে হাউজিং বেনেফিট বা বাড়ি পাওয়ার অধিকার পেতে অন্তত পাঁচ বছর সময় লাগবে।
মাইগ্রেশন কোটাও তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে শরণার্থী শিশুদের ফরাসি নাগরিকত্ব পেতে অসুবিধা হবে। শুধু তা-ই নয়, অবৈধ শরণার্থীদের সহজেই এই আইনের ফলে দেশ থেকে বার করে দেওয়া যাবে। ছাড় দেওয়া হবে না ১৪ বছরের নিচের ব্যক্তিদেরও।
বিলটি নিয়ে আলোচনার সময় থেকেই এনিয়ে তীব্র আন্দোলন হচ্ছে ফ্রান্সে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, বিলটি পাশ হলেও তাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।