অবৈধভাবে আমেরিকায় অনুপ্রবেশ করা অভিবাসীদের গ্রেপ্তার এবং নির্বাসনের ক্ষমতা দিয়ে নতুন অভিবাসী আইনের অনুমোদন দিয়েছেন টেক্সাসের রিপাবলিকান গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট।
সিবিএস জানায়, ব্রাউনসভিলে সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্থানীয় সময় সোমবার গর্ভনর নতুন এ আইনে স্বাক্ষর করেন যাকে অ্যামেরিকার আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে কঠোর স্টেইট অভিবাসন আইন হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
নতুন এ আইনটি সেনেট বিল ফোর বা এসবি ফোর নামে পরিচিত। অনুমোদনের ফলে টেক্সাসের আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে স্টেইটের সন্দেহভাজন অভিবাসীদের আটক, গ্রেফতার এবং জেলে পাঠানোর ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
আইনটির ফলে স্টেইটের বিচারকদের সন্দেহভাজন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কার্যকর নির্বাসন আদেশ জারি করার অনুমতি মিলেছে। যদিও নতুন এ আইনটি স্টেইটে কীভাবে প্রয়োগ করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়৷
টেক্সাস আইনসভা এ বছরের শুরুতে অভিবাসন এবং সীমান্ত ইস্যুতে নতুন এ আইনটির খসড়া তৈরি করে।
নতুন আইনের অনুমোদন দিয়ে টেক্সাস গভর্নর বলেন, ‘সেনেট বিল ফোর এর লক্ষ্য টেক্সাসে অবৈধ অনুপ্রবেশের জোয়ার বন্ধ করা। এটি এখন টেক্সাসের আইন।’
অভিবাসী নতুন আইনটি নাগরিক অধিকার সংগঠন ও বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে টেক্সাসের রিপাবলিকান স্টেইট প্রশাসনেরে আইনি এবং রাজনৈতিক দ্বন্দের সূচনা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নতুন আইনের অধীনে মেক্সিকো থেকে বেআইনিভাবে টেক্সাসে প্রবেশ করার অপরাধে ১৮০ দিন পর্যন্ত জেল ও ২০০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
টেক্সাসে অবৈধভাবে পুনপ্রবেশ করলে এটিকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে ২, ১০ বা ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
২০২৪ সালের মার্চ মাসে নতুন আইনটি কার্যকর হতে চলেছে বলে জানিয়েছে টেক্সাস প্রশাসন। যদিও এর বিরুদ্ধে মামলা হলে তার ওপর নির্ভর করে আইনটি পরিবর্তিত হতে পারে।
ডেমোক্র্যাট সেনেটর, মেক্সিকান সরকার এবং আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নসহ অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলো এ আইনের কঠোর সমালোচনা করেছে এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে আইনটির বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
হোয়াইট হাউযের মুখপাত্র অ্যাঞ্জেলো ফার্নান্দেজ হার্নান্দেজকে আইনটির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি কট্টর আইন যা টেক্সাসের কমিউনিটিকে কম নিরাপদ করে তুলবে৷ সাধারণভাবে বলতে গেলে ফেডারেল সরকার অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের জন্য কীভাবে ও কখন তাদের অপসারণ করতে হবে তা নির্ধারণ করার দায়িত্বপ্রাপ্ত; কোনো বিশেষ স্টেইট সরকার নয়৷’