বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সোচ্চার থাকলেও বাংলাদেশে চলন্ত ট্রেনে আগুন দিয়ে বিএনপির মানুষ পুড়িয়ে মারার বিষয়টি এড়িয়ে গেলো মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনো উত্তর না দিয়ে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বিষয়টি এড়িয়ে যান।
একের পর এক বাস পোড়ানোর পর এবার নাশকতাকারীদের টার্গেট ট্রেন। গত ১৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে রেললাইন কেটে রাখায় গাজীপুরের ভাওয়ালে ছিন্নভিন্ন হয় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ৭টি বগি। এতে একজনের মৃত্যু হয়, আহত হন বেশ কয়েকজন। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।
সপ্তাহ না ঘুরতেই গতকাল মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) আবারও নাশকতার শিকার হয় ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’। বিমানবন্দর পার হয়ে তেজগাঁও স্টেশনে ঢোকার আগেই হঠাৎ আগুনে দিগবিদিক ছুটোছুটি শুরু করেন যাত্রীরা। তিনটি বগিতে লাগা আগুনে এক বগিতেই মারা যান মা ও শিশুসহ ৪ জন।
মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ব্রিফিংয়ে উঠে আসে ট্রেনে বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের বিষয়টি। সময় সংবাদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছোট বড় নানা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সোচ্চার থাকলেও এ বিষয়ে জানেন না বলে এড়িয়ে যান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
এদিকে, গত ১৬ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে নির্বাচনের পর বাংলাদেশে আরব বসন্তের মতো কাণ্ড ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র – রাশিয়ার এমন আশঙ্কা প্রকাশের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মিলারের গতানুগতিক উত্তর বাংলাদেশে স্বচ্ছ নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র।