নাশকতার অভিযোগে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এসব মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম রকিবুল হাসানের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলাগুলোতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন। এক মামলায় আসামির সংখ্যা ১৭৯ জন, আরেক মামলায় ৩৪ জন। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এক মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২ জুন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জের হজরতপুরে মেঘু মিয়া মাতুব্বর হাফেজিয়া মাদ্রাসা এবং আমান জামে মসজিদে গোপনে ইফতারের আয়োজন করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেখানে আমান উল্লাহ আমান উপস্থিত হলে আয়োজন ঘিরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিষয়টি জেনে সেখান চেয়ারম্যান আয়নালসহ আওয়ামী লীগের ৩০/৪০ জন উপস্থিত হন। এসময় বিএনপির ৩০০/৪০০ জন নেতাকর্মী পিস্তল, রিভলভার, ককটেল বোমা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। ককটেল বিস্ফোরণে চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় হজরতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহের আলী ৪ জুন মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর আমান উল্লাহ আমানসহ ১৮১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শাহ আলম। পরবর্তীতে দুই আসামি মারা যাওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অপর মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর ১৮ দলের ডাকা সড়ক, রেল, নৌপথ অবরোধের অংশ হিসেবে নেতাকর্মীরা কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর এলাকায় যানবাহনের গতিরোধ করে। গাড়িতে ভাঙচুর করে। একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে বাধা দিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় পরদিন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক কেরামত আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে একই থানার উপ-পরিদর্শক অশোক কুমার ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ৩৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।