বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে কোনও প্রতিযোগিতা করছে না রাশিয়া বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানটিটস্কি।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাসে ১৯৭২ সালে তৎকালীন সোভিয়েত নেভির সদস্য ভিটালি গুবেন্কো ও আলেকজান্ডার জালুটস্কির ঢাকা সফর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত একথা বলেন। সোভিয়েত নেভির দুই সদস্য চট্টগ্রাম বন্দর মাইনমুক্ত করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ বিষয়ে মস্কোতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা শুধু এটাই বলছি যে দেখো তারা কী করছে বা কী করেছে।’
ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক স্নায়ুযুদ্ধের পরে সবচেয়ে তলানিতে পৌঁছেছে। এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে সমস্যা তৈরি হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত জানান যে দশ বছর আগে ইউক্রেনে কী হয়েছিল মস্কোতে মুখপাত্র সেই তুলনা ঢাকার সঙ্গে করেছেন।
১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে অচল সমুদ্র বন্দর চালু করার জন্য জাতিসংঘের সহায়তার আবেদন করে বাংলাদেশ। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে বন্দর চালু করার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন সেটি তখন জোগাড় করা সম্ভব হয়নি বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত জানান যে মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রাম বন্দর সচল করার জন্য মস্কোকে অনুরোধ করেন। মস্কো দ্রুততার সঙ্গে রাজি হয় এবং ওই মাসেই এ বিষয়ে চুক্তি সই হয়।
সম্পূর্ণ মানবিক কারণে সোভিয়েত নেভি ওই কাজ করেছে। যদিও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ওই কাজের জন্য এক কোটি ডলার চেয়েছিল।