রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া অজ্ঞাতপরিচয় একজনকে নিজের চাচা বলে দাবি করেছেন বেলাল আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। পরিচয় না পাওয়া দুই লাশের একটি বেলাল আহমেদের চাচা রশিদ ঢালীর বলে দাবি তাঁর। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে এসে এই দাবি করেন তিনি।
তবে পুলিশ বলছে, শনাক্ত করতে না পারা দুই লাশ দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই কার লাশ। এ জন্য ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন। ডিএনএ পরীক্ষার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে, দাবি করা লাশটি রশিদ ঢালীর কি না।
রশিদ ঢালীর ভাতিজা বেলাল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, পায়ে পরা জুতা, মুখের আকৃতি দেখে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন একটি লাশ তাঁর চাচা রশিদ ঢালীর। তাঁর চাচা মালামাল কেনার জন্য গতকাল সোমবার রাতে নেত্রকোনা থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন। ভোর থেকে তাঁকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। তাঁদের বাড়ি নেত্রকোনা সদরে।
ঢাকা রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেতাফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শনাক্ত না হওয়া লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করার পর লাশ শনাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুনে পুড়ে চারজনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে নাদিরা আক্তার (৩২) এবং তাঁর ৩ বছরের ছেলে ইয়াছিন রহমান নামের দুজনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই দুজনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, দুর্বৃত্তরা ট্রেনে আগুন দিয়েছে।