Homeজেলানড়াইলে জমি দখল করে একতলা দালান ঘর ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ

নড়াইলে জমি দখল করে একতলা দালান ঘর ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ

মির্জা মাহামুদ হোসেন রন্টু নড়াইল প্রতিনিধি ।।

নড়াইল পৌরসভার ধোপাখোলা এলাকায় আব্দুল মান্নানের বসতবাড়ির ১৫ শতক জমি দখল করে একতলা দালান ঘর ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ আব্দুল মান্নানের স্ত্রী নাছিমা বেগম জানান, নড়াইল শহরের ভওয়াখালী এলাকার মোহাম্মদ উল্লাহর (৩৮) নেতৃত্বে তার লোকজন গত ৭ নভেম্বর এবং ১৬ ডিসেম্বর দু’দফা বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে একতলা পাকা দালান ঘর, রান্নাঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে।

এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ির মালিক আব্দুল মান্নান অসুস্থ থাকায় তারা সপরিবারে ঢাকায় ছিলেন। এ সুযোগে পাকা বাড়ি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ আব্দুল মান্নানের স্ত্রী নাছিমা বেগম বলেন, মোহাম্মদ উল্লাহর বিরুদ্ধে ভূমিদুস্যতার অভিযোগ রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের বাড়ির ১৫ শতক জমিও দখল করতে চায় মোহাম্মদ উল্লাহ। ২০১০ সালে নড়াইল পৌরসভার উজিরপুর মৌজার ধোপাখোলা এলাকার ৭৭৩ নম্বর এস এ খতিয়ানের ১১৫৭ ও ১১৫৯ দাগের ১৫ শতক জমি কিনে নামপত্তন করে নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছি। জমি কেনার পর ওই জমিতে একতলা পাকা দালান ঘর করে আমরা বসবাস করে আসছি। সম্প্রতি জানতে পারি, জালিয়াতি করে মোহাম্মদ উল্লাহ আমাদের বাড়ির ১৫ শতক জমি রেকর্ড করে নিয়েছে। এরপর আমি ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছি। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে মোহাম্মদ উল্লাহ আমাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে দিয়েছে। এখন মাথাগোঁজার ঠাঁইও হারিয়ে ফেলেছি। আমরা এখন দিশেহারা।

এ ব্যাপারে জমির মালিক গোলাম রসুল মোল্যা বলেন, আব্দুল মান্নানের কাছে আমি জমি বিক্রি করেছি। এখন শুনছি আরেকজন জালিয়াতি করে রেকর্ড করে নিয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।

এলাকাবাসী বলেন, রসুল মোল্যার কাছ থেকে আব্দুল মান্নান জমি কিনেছেন। হঠাৎ করে মোহাম্মদ উল্লাহ নামে একব্যক্তি এ জমির মালিকানা দাবি করছে। তাদের একতলা পাকা দালান ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে। আমরা দালান ঘর ভাঙতে দেখে প্রথমে ভেবেছি, আব্দুল মান্নান কি জায়গা-জমি বিক্রি করে দিয়েছে। পরে জানতে পারি, জালিয়াতি চক্র দখল করেছে। অবৈধ দখলদারের প্রতিবাদ করলে, তারা চলে গেছে। আমাদের দাবি, প্রকৃত জমির মালিক আব্দুল মান্নানকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হোক। কোনো জালিয়াতি চক্র যেন জমি নিতে না পারে।

অভিযুক্ত মোহাম্মদ উল্লাহ ক্যামেরার সামনে কথা বলতে চাননি। মোবাইল ফোনে বলেন, ওই ১৫ শতক জমি কেনার পর আমি রতডাঙ্গা এলাকায় একব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। তারা দখল বুঝে নেয়ার জন্য বাড়িঘর ভেঙ্গে দিয়েছে।

সর্বশেষ খবর