সাইদুজ্জামান রেজা,(পঞ্চগড়) প্রতিনিধি।।
পঞ্চগড়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার অভিযোগে আটকের পর মামলা না দিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম মন্ডলের বিরুদ্ধে। এনিয়ে এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষক ও সচেতন মহলে বিরাজ করছে ক্ষোভ।
জানা যায়,সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্বখাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয় (৮ ডিসেম্বর) শুক্রবার সকাল ১০ টায়।এদিন বিভিন্ন কেন্দ্রে ইলেক্টোনিক ডিভাইজ ব্যবহার করার অভিযোগে ৪ জন, মোবাইল ব্যবহার করার অভিযোগে ২ জন ও পরীক্ষায় সহযোগীতা করার অভিযোগে ১ জনসহ মোট ৭ জনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
তারা হলেন, জেলার বোদা পৌরসভার নগরকুমারী এলাকার ফারুক আহমেদের স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা (২৯), একই উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের তাসের পাড়া এলাকার মোজাহার ইসলামের স্ত্রী মাসুমা বেগম মনিরা (২৪), উপজেলার লক্ষিপাড়া এলাকার আনন্দ রায়ের ছেলে ভাস্কর রায় (৩২), সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকার শুকুর আলীর ছেলে নুরুজ্জামান (৫৫) একই উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের নুনিয়াপাড়া এলাকার আতাউর রহমানের স্ত্রী উম্মে সুবাহ সাদিয়া (২৭), দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নের আদর্শপাড়া এলাকার ফজলুল ইসলামের ছেলে কবির হোসেন (৩০), আটোয়ারী উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের নিতুপাড়া এলাকার হবিবর রহমানের ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান।
ওইদিন রাতেই জেলা শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম মন্ডল বাদী হয়ে ৪ জন আটক দেখিয়ে ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।আটক বাকী তিনজনের বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিসার কোন অভিযোগ না করায় রাত সাড়ে ১২ টায় পুলিশ তাদের ছেড়ে দেন।তারা হলেন,বোদা উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান,দেবীগঞ্জের কবির হোসেন ও সদর উপজেলার নুরুজ্জামান।
খোলাপাড়া খানপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব মতিয়ার রহমান জানান,পরীক্ষা শেষ হয়ে খাতা নেয়ার সময় মোস্তাফিজুর রহমান ও কবির হোসেনকে অন্য পরীক্ষীর্থীরা ডিভাইজ ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয়ায় তাদেরকে ধরে কর্তৃপক্ষের হাতে দেয়।পরে কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। শুনেছি পরে রাত সাড়ে ১২টায় তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে।একই কথা বলেন,পরীক্ষা সুষ্ঠু সুশৃঙ্খলভাবে নেয়ার জন্য পরীক্ষা পরিচালনা কমিটিকে সহযোগিতা করার দায়িত্বে থাকা পঞ্চগড় শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইন্সট্রাক্টর আমানত হোসেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.আমিরুল ইসলাম মন্ডল জানান,আমি সম্প্রতি যোগদান করেছি। সহকারী শিক্ষা অফিসারকেই চিনিনা তার ভাইকে কিভাবে চিনবো।অন্য জেলায় কেন্দ্র সচিব বাদি হয়ে মামলা দিয়েছে,এখানে আমি নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছি।তবে মুস্তাফিজুর রহমান ও কবীরের খাতা বাতিল করা হয়েছে। তাদের কাছে কোন ডিভাইজ না পাওয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আর নুরুজ্জামান ওই কেন্দ্রের কর্মচারী। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে দরজায় চেক করার সময় অন্য একজনের একটি প্রবেশপত্র তার পকেটে পায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য তাকে আটক করা হয়েছিল।
পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার রায় জানান,জেলা শিক্ষা অফিসার যেভাবে অভিযোগ করেছেন,আমরা সেভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি।