একমাত্র তৃণমূল বিএনপি কারও অনুগত না হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নির্বাচন করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে প্রতীক পাওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে লড়বেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের একমাত্র বিরোধী দল হচ্ছে তৃণমূল বিএনপি। জাতীয় পার্টি অনেক রং ঢংয়ের পর সরকারি দলের অনুগত হয়ে নির্বাচন করছে। ১৪ দলতো আগেই সরকারের শরিক। আমরা সারাদেশে বিভিন্ন আসনে ১৪২ জন প্রার্থী নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। জনগণ যদি মনে করেন সংসদে একটা শক্তিশালী বিরোধী দল থাকার দরকার তাহলে অবশ্যই আমাদের ভোট দেবেন। আমরাই শুধু নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নির্বাচন করবো, কারও অনুগত হয়ে নয়।’
অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার আরও বলেন, ‘এবার যদি ২০১৪ সাল এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি রক্ষা হবে না। আমি সবসময় জনগণের সাথে ছিলাম,জনগণের জন্য কাজ করেছি। রূপগঞ্জের জনগণ আমাকে ভাই বলেন, স্যার বলেন না।’
সরকারদলীয় প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘রূপগঞ্জের এক হাজার লোককে চাকরি দিয়ে আমি ২৬ মাস জেল খেটেছি। কেউ আমাকে এক কাপ চা খাওয়াতে পারেনি। রূপগঞ্জে বর্তমানে যে জমি দখল চলছে; এই দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে একমাত্র আমি লড়াই করছি। দেশের কোনও মানুষ দেখাতে পারবে না খন্দকার পরিবারের কেউ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কিংবা কেউ পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছেন। আমি একা লড়াই করে আজ এই জায়গায় এসেছি।’
এর আগে সোমবার সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে সোনালী আঁশ প্রতীক বরাদ্দ দেন জেলা রিটার্নিং অফিসার মাহমুদুল হক।