চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেছেন, মানুষ তাঁকে নায়ক হিসেবে ভালোবাসে। সেখানে জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁকে কতটুকু ভালোবাসবে এবং কতটুকু আস্থার মধ্যে রাখবে, সেটা তিনি বলতে পারছেন না।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতীক বরাদ্দ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ঢাকা-১০ আসনে তাঁকে দলীয় প্রার্থী করেছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তো বলার মতো হওয়ার দরকার নেই। প্রতিদ্বন্দ্বী সব সময়ই প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রতিদ্বন্দ্বী কখনো দুর্বল ভাবলে চলবে না। কারণ, ভোটকেন্দ্রে বুথের ভেতর গিয়ে কে কাকে ভোট দেবে, তা জানি না।’
ঢাকা- ১০ আসনে ফেরদৌসসহ পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাকিরা হলেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি থেকে এ কে এম শামসুল আলম (আম), বিএনএফ থেকে বাহারানে সুলতান বাহার (টেলিভিশন), জাতীয় পার্টির হাজি মো. শাহজাহান (লাঙ্গল) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শাহরিয়ার ইফতেখার (ছড়ি প্রতীক)।
ফেরদৌস বলেন, ‘ঢাকা-১০ আসনের মানুষ আমাকে যে ধরনের ভালোবাসা ও সম্মান দেখিয়েছে, তার চেয়ে বেশি ভালোবাসা ও সম্মান দেওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত রয়েছি। এই আসনের মানুষ যেন সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারে, এই আসনকে সুন্দর একটা বাসযোগ্য আসন গড়ে তোলাই আমার বড় লক্ষ্য।’
নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছিল প্রতীক বরাদ্দ নেওয়ার সময় ২ থেকে ৩ জনের বেশি কর্মী আনা যাবে না। তো আপনি যে ৩০-৪০ জন নিয়ে আসছেন, এতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে কি না জানতে চাইলে ফেরদৌস বলেন, ‘এরা কিন্তু ভেতরে ঢোকেনি। এরা বাইরে ছিল। আমার ভেতরে ৩-৪ জন নিয়ে যাওয়ার কথা। আমি সেই কয়জনকেই ভেতরে নিয়ে গেছি। ভেতরে যে রুম থেকে আমাকে প্রতীক দেওয়া হয়েছে, সেই রুমে আমি এত লোক নিয়ে যাইনি। আর এখানে যেহেতু আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা আমাকে ভালোবেসে সার্বক্ষণিক আমার পাশে থাকে, তারাই এসেছে এই পর্যন্ত।’