দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। একারণে ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা।
লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ বিনিময় হার তুলে ধরা হলো।
ইউ এস ডলার ১২০ টাকা ৩০ পয়সা, ইউরোপীয় ইউরো ১১৯ টাকা ২২ পয়সা, ব্রিটেনের পাউন্ড ১৫৪ টাকা, ভারতীয় রুপি ১ টাকা ২৯ পয়সা, মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ২৬ টাকা ২০ পয়সা, সিঙ্গাপুরের ডলার ৯০ টাকা ৬৮ পয়সা, সৌদি রিয়াল ২৯ টাকা ৩৩ পয়সা, কানাডিয়ান ডলার ৮৯ টাকা ৫০ পয়সা, অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৮১ টাকা, কুয়েতি দিনার ৩৯৯ টাকা ২০ পয়সা,
উল্লেখ্য, যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।
কখন টাকা পাঠালে আপনি বেশি বা কম লাভবান হবেন?
অবশ্যই যখন টাকার রেট বেশি থাকে তখন টাকা পাঠিয়ে থাকলে আপনি লাভবান হতে পারবেন। প্রতিনিয়তই টাকার রেট উঠানামা করে, এর জন্য আপনাকে সব সময় নজর রাখতে হবে কখন টাকার মান বৃদ্ধি পায়। বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে যদি আপনি আপনার রেমিটেন্স প্রবাস থেকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে থাকেন তাহলে আপনি বেশি লাভবান হবেন। প্রতিদিনের টাকার রেট এর আপডেট জানতে আমাদের এই সাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।
এদিকে, সব সময় ডলারের মান বা টাকার রেট এক থাকে না। কিছু কিছু সময় ডলারের মান বেশি হয়ে থাকে আবার কিছু কিছু সময় অনেক কম হয়ে থাকে। এজন্য আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিনের টাকার রেট সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আপনি প্রতিদিনের বাংলাদেশি টাকায় বিভিন্ন দেশের আজকের টাকার রেট সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বাংলাদেশের মুদ্রা চালু হয় কবে?
বাংলাদেশে প্রথম কাগুজে নোট চালু করা হয়েছিল ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ। ওই দিন প্রথম ১ টাকা ও ১০০ টাকার নোট চালু করা হয়। এর আগপর্যন্ত লেনদেনে পাকিস্তানি রুপি ব্যবহার করা হতো। কেউ কেউ ভারতীয় রুপিও গ্রহণ করতেন।এসব নোটে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র মুদ্রিত ছিল। এরপর ১৯৭২ সালের ২ মে ১০ টাকা মূল্যমানের নোট এবং ২ জুন বাজারে আসে ৫ টাকা মূল্যমানের নোট। সে সময় ১ মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মূল্যমান সাড়ে ৭ টাকা থেকে ৮ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা হয়।
কোন দেশে টাকার মান সবচেয়ে বেশি?
কুয়েতের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে কুয়েতি দিনার বিশ্বের সর্বোচ্চ মুদ্রা হিসেবে রয়ে গেছে। দেশের অর্থনীতি প্রধানত তেল রপ্তানির উপর নির্ভরশীল কারণ এটি বিশ্বের বৃহত্তম রিজার্ভগুলির একটি।