ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী বছর জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসংশ্লিষ্ট ও একাডেমিক কমিটির সভার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকা হালিম গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, চলতি বছর কীভাবে ভর্তি পরীক্ষা হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ভর্তি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউসিসি) থেকে একটি নির্দেশনা এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসংশ্লিষ্ট ও একাডেমিক কমিটির সঙ্গে পরামর্শ সভা করে সিদ্ধান্ত নেব।
উপাচার্য বলেন, ‘সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তিতে দীর্ঘসূত্রতা দেখা যায়। আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব। এর জন্য জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
গত তিন শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ২৩টি সাধারণ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করে আসছে। তবে গত শিক্ষাবর্ষে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে জগন্নাথ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এই পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসার দাবি করেছিলেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায় অনুসারে গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নেয় এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়।
ইউজিসি সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘একক’ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত সেটি বাস্তবায়িত হয়নি। নতুন পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে ইউজিসি গত ৩১ অক্টোবর ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে স্নাতক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ২০২৩’–এর খসড়া চূড়ান্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠালেও সেটি চূড়ান্ত হয়নি।
এর মধ্যেই ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।