আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দুর্গম এলাকাতে ব্যালট পাঠানো হবে ভোটগ্রহণের আগের দিন রাতে। আর অন্যান্য সব কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো হবে নির্বাচনের দিন সকালে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
গত মাসের ১৫ তারিখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিল অনুযায়ী- নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর করা হয়, মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, যা চলছে। আর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। সে অনুসারে প্রার্থীরা ১৮ দিন সময় পাবেন নির্বাচনে প্রচার প্রচারণার। এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।
ইসির তথ্য মতে, ৩৪৭টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাঁচটি স্থগিত রয়েছে। এ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৮৬ জন। আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে ২৭টি রাজনৈতিক দল।
রোববারই (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে দলীয় ও জোট শরিক প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তালিকা মোতাবেক, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৬৩ আসনে লড়বে। জাতীয় পার্টিকে ২৬টি এবং শরিকদের ৬টি আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এর আগে আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও এরমধ্যে ৫টি আসন ইসির বাছাইয়ে বাতিল হয়ে যায়।
জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-১ ও ২, গাইবান্ধা-১ ও ২, বগুড়া-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৩, পিরোজপুর-৩, ময়মনসিংহ-৫ ও ৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-১৮, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ফেনী-৩, চট্টগ্রাম-৫ ও ৮, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন। এই আসনগুলোতে দলীয় কোনো প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ।
অন্যদিকে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলো হলো- বগুড়া ৪, রাজশাহী ২, কুষ্টিয়া ২, বরিশাল-২, পিরোজপুর-২ ও লক্ষ্মীপুর-৪। এসব আসনেও দলীয় প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ।
সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ৭ জানুয়ারি।