নানা নাটকীয়তা আর দফায় দফায় বৈঠকের পর জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ২৬ আসনে ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া ১৪ দলের শরিকদের ৬টি আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এসব আসন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছে ক্ষমতাসীনরা।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিনে এ কথা জানান আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
ছাড় দেয়া ২৬ আসনে জাপার হয়ে লড়বেন যারা
ঠাকুরগাঁও-৩, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ; নীলফামারী-৩, রানা মোহাম্মদ সোহেল; নীলফামারী-৪, আহসান আদেলুর রহমান; রংপুর-১, হোসেন মকবুল শাহরিয়ার; রংপুর-৩, জি এম কাদের; কুড়িগ্রাম-১, মুস্তাফিজ; কুড়িগ্রাম-২, পনির উদ্দিন আহমেদ; গাইবান্ধা-১, শামীম হায়দার পাটোয়ারী; গাইবান্ধা-২, মো. আব্দুর রশীদ সরকার; বগুড়া-২, শরীফুল ইসলাম জিন্নাহ; বগুড়া-৩, নুরুল ইসলাম তালুকদার; সাতক্ষীরা-২, মো. আশরাফুজ্জামান; পটুয়াখালী-১, রুহুল আমিন হাওলাদার; বরিশাল-৩, গোলাম কিবরিয়া টিপু; পিরোজপুর-৩, মো. মাশরেকুল আজম রবি; ময়মনসিংহ-৫, সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ মুক্তি; ময়মনসিংহ-৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মুজিবুল হক চুন্নু; মানিকগঞ্জ-১, জহিরুল আলম রুবেল; ঢাকা-১৮, শেরীফা কাদের; হবিগঞ্জ-১, মো. আব্দুল মুনিম চৌধুরী;
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, আব্দুল হামিদ; ফেনী-৩, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী; চট্টগ্রাম-৫, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জ-৫, সেলিম ওসমান; এবং চট্টগ্রাম-৮, সোলায়মান আলম শেঠ।
গত ২৬ নভেম্বর ২৯৮ আসনে প্রার্থিতা ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। সেদিন নারায়ণগঞ্জ-৫ এবং কুষ্টিয়া-২ আসনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি ক্ষমতাসীনরা।
আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ২৯৮ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন প্রার্থীরা। যাচাই বাছাইয়ে পাঁচটি বাতিল হয়। এখন দলের বৈধ প্রার্থী ২৯৩ জন।
তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনৈতিক মিত্ররা জোট হয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কারণে ৬টি আসন ১৪ দলকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এই ছয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও জাতীয় পার্টির জন্য ২৬টি আসন ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এসব আসন থেকেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।