Homeআন্তর্জাতিকভারতে বসেই মিলছে বিদেশি কলেজের সনদ, ইউজিসি বলছে অবৈধ

ভারতে বসেই মিলছে বিদেশি কলেজের সনদ, ইউজিসি বলছে অবৈধ

ভারতের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিদেশি ডিগ্রি দিচ্ছে বলে শিক্ষার্থীরা সেখানে ভিড় করছেন বেশি। অনেক শিক্ষার্থী এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনাও করছেন। দেশটির ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশন (ইউজিসি) বলেছে, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো বৈধতা নেই। এ নিয়ে নোটিশ‌ও জারি করেছে ইউজিসি।

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের কারজাতের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শত শত শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছেন উচ্চশিক্ষার জন্য। সেখানে পড়লে একবারে বিদেশি ডিগ্রি মিলবে বলে এই ভিড়। ব্রিটেনে পড়লে যে ডিগ্রি পান শিক্ষার্থীরা, এখানে পড়লেও একই রকম ডিগ্রি দেওয়া হয়। এরপরই প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়, পড়াশোনা কি বিদেশি মানের বা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে, তার সঙ্গে কোনো চুক্তি আছে? দক্ষিণের রাজ্য বেঙ্গালুরুর একটি কলেজেও একই প্রতিশ্রুতি দিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলছে, বিদেশে পড়তে গেলে অনেক খরচ, আর ভর্তির সুযোগও কম। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের

অধ্যাপকেরা এসে এখানে পড়ান। এসব কথায় অনেক শিক্ষার্থী এ কলেজগুলোয় ভর্তি হন। কিন্তু কোনো বিদেশি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এসব কলেজের চুক্তি নেই। আসলে পুরোটাই ভুয়া ব্যাপার।

সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে এমন কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নোটিশ‌ জারি করেছে ভারতের ইউজিসি। নোটিশে ইউজিসি জানিয়েছে, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তির কথা অনেক প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইটে উল্লেখ করেছে। ইউজিসিকে না জানিয়ে এ ধরনের কাজ করা হয়েছে‌। ইউজিসি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কোনো স্বীকৃতি দেয়নি। তাই এ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রাপ্ত ডিগ্রির বৈধতা নেই। নোটিশে শিক্ষার্থীদের এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।

ভারতের একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের কারজাতের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষার্থী জানান, ভর্তির সময় তাঁদের সঠিক তথ্য জানানো হয়নি। পরে ইউপিএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে জানতে পারেন, কলেজের কোনো বৈধতা নেই। ফলে তাঁর ডিগ্রিরও কোনো বৈধতা নেই। লাখ লাখ রুপি খরচ করে তিন বছর পর তিনি জানতে পারেন এ ব্যাপারে। ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা ইউপিএসসি হলো ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি চাকরির পরীক্ষা। কেন্দ্রীয় সরকারে কর্মী নিয়োগের জন্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাসহ ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন বিভিন্ন পরীক্ষা নিয়ে থাকে।

এদিকে কিছু শিক্ষার্থী এ ঘটনার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।

Exit mobile version