শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংককে লেনদেন থেকে বিরত রাখার বিষয়ে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের নিয়মিত কাজ বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
তবে লেনদেন বিরত রাখার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। আজ রোববার দুপুরে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য দেন। ব্যাংক পাঁচটি হলো ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।
গত শুক্রবার প্রথম আলোসহ একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি হিসাবে ঘাটতির কারণে এই পাঁচ ব্যাংকের লেনদেনসেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এসব ব্যাংককে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের চলতি হিসাবের স্থিতি ঋণাত্মক। বিষয়টি বারবার অবহিত করার পরও ব্যাংকগুলো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি হিসাবের ঋণাত্মক স্থিতি সমন্বয়ের জন্য ২০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ২০ দিনের মধ্যে চলতি হিসাবের ঋণাত্মক স্থিতি সমন্বয় করা না হলে ক্লিয়ারিং বা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা থেকে ব্যাংকগুলোকে বিরত রাখা হবে।
আজ সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় এ নিয়ে চিঠি দিলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ। ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর কাঠামোগত সমস্যার কারণে কিছু ব্যাংক তারল্যসংকটে পড়েছে। এ নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মুখপাত্র জানান, এখন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য। এরপর বহিস্থ চাপ থেকে বের হয়ে এলে সংকটে পড়া ব্যাংকের সুশাসন নিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।