নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে ও আপিল নিষ্পত্তির পর বৈধতা পেয়েছেন দুই হাজার ২৬০ জন প্রার্থী। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটের লড়াইয়ে কারা থাকছেন তা চূড়ান্ত হবে আজই।
নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর)। আজ বিকেল ৪টার মধ্যে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কেউ নিজেকে ভোট থেকে সরিয়ে নিতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তা লিখিতভাবে জানাতে হবে।
এবার ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র মিলে এখন পর্যন্ত ২২৬০ জনের মতো বৈধ প্রার্থী রয়েছেন। ৩০০ আসনে ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা রয়েছেন। স্ব স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছেন অনেক প্রার্থীই। এরপর চূড়ান্ত হবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী; যারা ভোটের মাঠে প্রতীক নিয়ে লড়বেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থী লিখিত বা স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বা তার পূর্বে নিজে অথবা লিখিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন।
নিবন্ধিত দলের কোনো আসনে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন দেওয়া থাকলে দলের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বা অনুরূপ পদধারী কোনো ব্যক্তি লিখিত নোটিশ দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে তিনি স্বয়ং বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে প্রার্থীর চূড়ান্ত মনোনয়ন অবহিত করতে পারবেন এবং দলের অন্যান্য প্রার্থীর প্রার্থিতা স্থগিত হবে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর বিকাল ৪টা। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত পরিপত্র সব রিটার্নিং অফিসারকে পাঠিয়েছেন ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান।
গত ১৫ নভেম্বর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে দেশের ৩০০ আসনে দুই হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর বাছাইয়ে এক হাজার ৯৮৫ জনের প্রার্থিতা বৈধ এবং ৭৩১ জনের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ৫-১০ ডিসেম্বর কমিশনে ৫৬০টি আপিল জমা হয়। মঞ্জুর হয় ২৮০টি আবেদন। এখন বৈধ প্রার্থী ২২৬০।
বৈধ প্রার্থীরা বিকাল ৪টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পরে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চূড়ান্ত হবে, যারা ভোটের লড়াইয়ে থাকবেন।
প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর এক আসনে একাধিক প্রার্থীর বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়ে তাদের চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম জানিয়ে দিতে হবে। কোনো দল তার দলীয় প্রতীক জোটভুক্ত দলের কোন প্রার্থীর অনুকূলে বরাদ্দ দিতে চাইলেও সেটা এময়ের মধ্যে করতে হবে।
১৮ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দ দেবেন। তখন থেকেই দল বা প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে পারবেন। সোমবার থেকে প্রচারণা শুরু হয়ে চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮ টা পর্যন্ত।