মারাকানা স্টেডিয়ামে ব্রাজিলকে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে বোমা ফাটিয়েছিলেন লিওনেল স্ক্যালোনি। ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো এই কোচ পদত্যাগের আভাস দিয়েছিলেন সেদিন। এই ঘটনার ২২ দিন পর বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে আবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন স্ক্যালোনি। আর্জেন্টাইন কোচ এবার স্পষ্ট করেছেন যে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় আছেন তিনি।
গত ২১ নভেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ব্রাজিলকে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে স্ক্যালোনি বলেছিলেন, ‘এই খেলোয়াড়েরা কোচিং স্টাফকে অনেক কিছু দিয়েছে। এখন আমি কী করব, সেটা নিয়ে ভাবা প্রয়োজন। বিদায় বা এমন কিছু বলছি না। তবে আমাকে ভাবতে হবে। কারণ, প্রত্যাশার মাত্রাটা অনেক উঁচুতে। আর এভাবে চালিয়ে যাওয়া এবং জয়ের পথে থাকাও বেশ জটিল কাজ।’
তিনি আরও বলেন, ‘খেলোয়াড়েরা আমার কাজটা কঠিন করে তুলেছে। তাই আমাকে একটু ভাবতে হবে। পরে আমি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলব।’
স্ক্যালোনির এই বক্তব্য নিশ্চিতভাবেই পদত্যাগের ইঙ্গিত করে। তবে সংবাদ সম্মেলনের পরপরই শোনা যায়, আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া আলোচনায় বসবেন তার সঙ্গে। মায়ামিতে কোপা আমেরিকার ড্র অনুষ্ঠানের আগে হওয়ার কথা ছিল এই আলোচনা। তবে তার অনেকদিন পেরিয়ে গেলেও নিজের সিদ্ধান্তে অনেকটা অনড় স্ক্যালোনি।
বুধবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ এবং লাৎজিও ম্যাচে হাজির ছিলেন বিশ্বকাপজয়ী কোচ। সেখানে আর্জেন্টিনার দায়িত্বে থাকা না–থাকা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে তাকে।
এ প্রসঙ্গে স্ক্যালোনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সবকিছুতেই থামার একটা সময় আছে। থেমে ভাবতে হয়, আগামী বছরের লক্ষ্য ঠিক করে ভাবতে হয় এই কোচিং স্টাফ নিয়ে সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে পারব কি না। আমরা এখন এটা নিয়েই কাজ করছি। লক্ষ্যটা হলো, আমাদের যা কিছু আছে, তা নিয়েই সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা। আমরা এখন এ পর্যায়ে আছি এবং সেদিনের (মারাকানার সংবাদ সম্মেলন) পর থেকে কিছুই পাল্টায়নি।’
তবে এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন স্ক্যালোনি। অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ এবং লাৎজিওর ম্যাচ দেখতে আসার কারণও এটাই। খেলা দেখতে এসে অ্যাথলেটিকোর তিন তারকা রদ্রিগো ডি পল, নাহুয়েল মলিনা এবং আনহেল কোরেয়ার সঙ্গে আলোচনা সেরেছেন তিনি। গুঞ্জন আছে, নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসির সঙ্গেও কথা বলবেন স্ক্যালোনি।