নুরুজ্জামান হোসেন, হিলি।।
অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট দেখিয়ে ভারত রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় সারা দেশের ন্যায়ে দিনাজপুরের হিলিতে অস্থিতিশীল হয়ে উঠে পেঁয়াজের বাজার। তবে দেশীয় নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় ও সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। এতে খুশি নিম্নআয়ের মানুষেরা। পাইকারী দেশী মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সেই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ১৪ই ডিসেম্বর হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়,হিলি বাজারে কেজি প্রতি প্রকারভেদে কমেছে ৫০ টাকা।আর পাতা পেঁয়াজ কেজিতে কমেছে ৩০ টাকা কমে এখন ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ পাইকারী ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সেই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এবং দেশি শুকনো পেঁয়াজ ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আফজাল হোসেন বলেন,হঠাৎ ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষনা করে। এরপর থেকে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। রোববার হাট বার বাজারে পেঁয়াজ কিনতে এসে দেখি দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই সেই দিন আমি হাপ কেজি পাতা পেঁয়াজ ৪০ টাকায় কিনেছিলাম। আজ বৃহস্পতিবার হাট বার বাজার করতে এসেছি। আজ দেশী পেঁয়াজ ৯০ টাকায় এক কেজি নিলাম।
হিলি বাজারে পাইকারী বিক্রেতা আবু তাহের বলেন,গত কয়েক দিনের তুলুনায় দেশী পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই দাম কমে আসছে। আমরা চার দিন আগে দেশী মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। আজ সেই পেঁয়াজ পাইকারি ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। দেশি শুকনো পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
হিলি খুচরা বিক্রেতা রুবেল হোসেন বলেন,আজ আমরা পাইকারী ৮০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। আর খুচরা বিক্রি করছি ৯০ টাকা কেজি দরে। আমরা কম দামে কিনে কম দামেই বিক্রি করছি। তবে কয়েক দিন পেঁয়াজ ক্রেতা খুব কম ছিলো। আজ বৃহস্পতিবার যেমন সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে তেমন পেঁয়াজ ক্রেতাও বেড়েছে। তবে আর কয়েক দিন পর পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে