বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। ঢাকা থেকেই আসন ও ফলাফল নির্ধারণ হয়ে গেছে, ওইদিন শুধু ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যান বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে মঈন খান এসব কথা বলেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন,
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন মূলত বানোরের পিঠা ভাগ করার নির্বাচন। ভাগাভাগির নির্বাচন করছে আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিকরা। তামাশার নির্বাচন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা।
তিনি বলেন, জনগণ বর্তমান সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের নৈতিক পরাজয় হয়ে গেছে। গণতান্ত্রিক নিয়মে শান্তিপূর্ণভাবে দেড় বছর ধরে প্রতিবাদ করে আসছি। এই প্রতিবাদ আমরা করে যাব, বাংলাদেশে কোনো একদলীয় সরকার থাকতে পারবে না। এখানে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। মানুষের যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে।
মঈন খান বলেন, আমরা চাই শান্তিপূর্ণ উপায়ে বাংলাদেশের এই রাজনৈতিক সংঘাতময় অচলাবস্থার শেষ হোক।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন,
সরকার দাবি করে তারা অনেক উন্নয়ন করেছে, তারা ভালো কাজ করেছে। আমি সরকারের প্রশংসা করি। তাহলে সরকার কেন ভয় পায় সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোটে আসতে।
এর আগে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে অর্পণের জন্য এনে রাখা একটি ফুলের তোড়া নিয়ে যায় পুলিশ। পরে আবার ফেরতও দিয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার ও শাইরুল কবির খান এ দাবি করেন।
তবে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে নাকচ করে দিয়েছে পুলিশ। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম সময় সংবাদকে জানান, নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে পুলিশ টহল দিতেই পারে। যদি কেউ যেয়ে থাকে, তাহলে সেটা নিয়মিত টহলেরই অংশ।
বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের ভেতরে তল্লাশিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন ওসি মাজহারুল। ফুলের তোড়া নিয়ে যাওয়া ও ফেরত দেয়ার বিষয়টিকে তিনি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।