জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের দলে কোনো কার্যনির্বাহী ক্ষমতা নেই। তার পদটি অলংকারিক-এমন মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু৷
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জাপা মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রওশন এরশাদের সাক্ষাতের বিষয়টির সঙ্গে জাতীয় পার্টির কোনো দলীয় সম্পর্ক নেই।
এ সময় চুন্নু আরও বলেন, রওশন এরশাদের পদটি অলংকারিক, জাতীয় পার্টিতে তার কোনো কার্যনির্বাহী ক্ষমতা নেই।
আরেক দলের কাছে নিজ দলের বিচার চাওয়া রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিপন্থী বলেও মন্তব্য করে জাপা মহাসচিব বলেন,
রওশন এরশাদ বিরোধীদলীয় নেতা, সেই হিসেবে সংসদ নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। এর সঙ্গে জাতীয় পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই। এক দলের বিষয়ে আরেক দলের কাছে নালিশ চলে কিনা, আমার জানা নেই।
আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে জাতীয় পার্টির সম্পর্কে কোনো টানাপড়েন সৃষ্টি হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জাপা মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতি বিশ্বাস কমেনি বরং ঘনীভূত হচ্ছে। আওয়ামী লীগের ব্যবহারে আপ্লুত আমরা।
তিনি বলেন,
আমরা সবাইকে বিশ্বাস করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকেও বিশ্বাস করি। আসনসহ যেকোনো বিষয়ে আলোচনা হতেই পারে, আবার নাও হতে পারে। নির্বাচন কৌশল হিসেবে রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রওশন এরশাদকে বাদ দিয়েই এককভাবে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয় জাতীয় পার্টি। এতে ৩২ বছর পর দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশনকে ছাড়াই নির্বাচনের পথে জাপা। ২৮৮ আসনে প্রার্থীও দেয় দলটি। এই অবস্থায় নির্বাচনী আমেজে জাপায় চলছে মান-অভিমান, অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগও।
এরইমধ্যে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। এর আগেও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন রওশন এরশাদ। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে মঙ্গলবারের (১২ ডিসেম্বর) এ সাক্ষাৎ জাতীয় পার্টির জন্য ভিন্ন ইঙ্গিত বহন করছে বলে ধারনা অনেকের।