রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চিঠি অবৈধ, এখতিয়ার বর্হিভূত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলছেন, সরকারের ইশারায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন চিঠি দিয়েছে ইসি। হুঁশিয়ারি দিলেন, ১৮ ডিসেম্বরের পর শুরু হবে নতুন ধাপের আন্দোলন। সে সঙ্গে চলবে কর্মসূচিও।
নির্বাচন কমিশনের অনুমতি না মেলায় ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসে সমাবেশ করতে পারেনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। অথচ ওইদিন প্রেসক্লাবের সামনে শোডাউন করে বিএনপি। একদলকে অনুমতি দেয়া আরেক দলকে না দেয়ায় প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের। এর একদিন পরই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত এলো ।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইসির অনুরোধ, ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচন বাধাগ্রস্থ হয়, ভোটাররা নিরুৎসাহিত হয় এমন রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি না দিতে। তবে ভোটের প্রচারণা চালাতে পারবে রাজনৈতিক দলগুলো।
বিএনপি নেতারা বলছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার অধিকার কারো নেই। সরকারের প্রেসক্রিপশনে ইসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও মনে করেন তারা।
দলটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ১৮ তারিখ থেকে দেশে যদি জরুরি অবস্থা জারি না হয় তাহলে নির্বাচন কমিশনের কোনো এখতিয়ার নেই এমন চিঠি দেয়ার। সভা-সমাবেশ করার অধিকার সবার আছে, এটি সাংবিধানিক অধিকার।
ইসির সংবিধান বহির্ভূত আদেশ নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো মানবে না বলেও জানান তারা।
নির্বাচন ঠেকানোর পরিকল্পনায় এগোতে থাকা বিএনপি ১৮ ডিসেম্বর থেকে নতুন ধাপের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় র্যালির মাধ্যমে ঢাকায় ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।