মেজর লিগ সকার (এমএলএস) এখন বিশ্ব ফুটবলের আলোচনার সবচেয়ে বড় অংশগুলোর একটি। আর এসব কিছু সম্ভব হয়েছে লিওনেল মেসির জন্য। এমন মন্তব্য করেছেন এমএলএস কমিশনার ডন গারবার। তিনি বিশ্বাস করেন, চুক্তির পুরো সময় যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন লিও মেসি এবং সামনের দিনে মেজর লিগ সকার আরও জনপ্রিয়তা পাবে।
গত মৌসুমে ক্লাব ফুটবল দলবদলে বড় চমক উপহার দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। পিএসজির সঙ্গে সম্পর্কের পাঠ চুকিয়ে নিজের গন্তব্য নিয়ে গেছেন ইন্টার মায়ামিতে। ইউরোপের বর্ণিল ফুটবল আর সৌদি আরবের কাড়িকাড়ি অর্থের ডাক টলাতে পারেনি বিশ্বসেরা ফুটবলারের মন।
মেসি মানেই যেন ইতিহাস। ফুটবলাঙ্গনে যেখানে পা রেখেছেন এই আর্জেন্টাইন সেখানেই তৈরি হয়েছে কল্পকথা। তুলানামুলক আলোচনার বাইরে থাকলেও বাদ যাবে কেন এমএলস। ম্যাজিশিয়ানের ছোঁয়ায় রীতিমত বদলে গেছে ইন্টার মায়ামি। এর আগে যে ক্লাব শুধুমাত্র জায়গা ধরে রাখার জন্য মাঠে নামতো, তারাই জিতে নিয়েছে লিগস কাপ। শুধু তাই নয়, মেসির নৈপুন্যে হয়ে ক্লাবটি হয়ে উঠেছে ফুটবল বিশ্বের চর্চিত বিষয়।
মেজর লিগ সকারের কমিশনার ডন গারবার বলেছেন, ‘মেজর লিগ সকারে লিওনেল মেসির প্রভাব কল্পনাতীত। আমরা এখন আর বিশ্ব ফুটবলের আলোচনার শুধুমাত্র ছোট অংশ নই, বরং বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় অংশগুলোর একটি। ক্রীড়া বিশ্বের দৃষ্টি এখন থাকে মেজর লিগ সকারের দিকে। এটা শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে মেসির জন্য। সে এখানে ভালো আছে এবং সফলতাও উপহার দিচ্ছে। তার ম্যাজিকে এখানকার ফুটবলের রূপ বদলে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে মেসি ম্যাজিক চলবে।’
লিওনেল মেসিকে এমএলএসে আনতে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব ডেভিড বেকহ্যামের। খেলোয়াড়ি জীবনে চ্যালেঞ্জ নিয়ে ইউরোপ ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। এলএ গ্যালাক্সির হয়ে জিতেছিলেন এমএলএস কাপ। এবার ক্লাব ওনার হয়ে স্বপ্ন পূরণ করেছেন মেসির মাধ্যমে।
ডন গারবার বলেছেন, ‘আমি ডেভিড বেকহ্যামের ডকুমেন্টরি দেখেছি। এটা দেখার পর আমার মনে হয়েছে মেজর লিগ সকার তার ক্যারিয়ারে কতটা অবদান রেখেছে। এই যাত্রাটা যে এখনও চলমান সেটি সে নিজেই বলেছে। মেজর লিগ সকার কাপ বেকহ্যামের জীবনে অর্জন করা সেরা ট্রফিগুলোর একটি। আমরা এমন একটা মঞ্চ তৈরি করেছি বলেই সেটা সম্ভব হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি মেসির জন্যও এমন পরিস্থিতি তৈরি করব আমরা।’
লিওনেল মেসির সঙ্গে ইন্টার মায়ামির চুক্তি দুই বছরের। প্রথম মৌসুমেই যে ঝলক দেখিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক, সামনেও তার ধারাবাহিকতা থাকবে বলে প্রত্যাশা ফুটবল ভক্তদের।
 এখন বিশ্ব ফুটবলের আলোচনার সবচেয়ে বড় অংশগুলোর একটি। আর এসব কিছু সম্ভব হয়েছে লিওনেল){kind=link}