Homeরাজনীতিমানবাধিকার দিবস ঘিরে বিএনপির ‘ফাঁকা আওয়াজ’

মানবাধিকার দিবস ঘিরে বিএনপির ‘ফাঁকা আওয়াজ’

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে ২০২২ সালে বেশকিছু দিন আগে থেকেই উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন বিএনপি নেতারা। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়েছিল দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী একটি মহল। আদতে সেই ১০ ডিসেম্বরে কিছুই করতে পারেনি বিএনপি। এবারও একই ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে, যা আদতে দেখা যাচ্ছে ‘ফাঁকা আওয়াজ’ ছাড়া আর কিছুই নয়।

গেলো বছর ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করেও এক ধরনের উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করে বিএনপি। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে লাগাতার কর্মসূচির মাধ্যমে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতে থাকেন দলের নেতারা।

দলের একাধিক নেতা বলেছিলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর বেগম জিয়ার কথায় দেশ চলবে। বলা হয়েছিল, তারেক রহমানের নির্দেশে ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশ চলবে। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির এক নেতা বলেছিলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান।

আর এ লক্ষ্যে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ডাকেন তারা। এর আগে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সহিংসতায় জড়ায়।

সে সময় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাসনিম খলিল ও ডেভিড বার্গম্যানের নেত্র নিউজ থেকে প্রচার করা হয় মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর স্যাংশনের কথা।

পরে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বরে রাজধানীর গোলাপবাগের সেই কর্মসূচি থেকে জাতীয় সংসদে থাকা বিএনপির পাঁচ সংসদ সদস্য পদত্যাগও করেছিলেন। কিন্তু বিএনপির বক্তব্য অনুযায়ী বেগম জিয়া, তারেক রহমান কারোরই দেখা মেলেনি।

এরপর, ২০২৩ সালের ২৪ মে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর তখন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকদের ওপর ভর করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বিএনপি।

গেল সেপ্টেম্বরে জামায়াত ও বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রকাশ্যে ও গোপনে বৈঠক করেন ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করতে থাকেন তিনি।

এ প্রেক্ষাপটে চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে ঢাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।

পরবর্তী এক মাসে হরতাল ও অবরোধের নামে দেশজুড়ে এক ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করা হয়। প্রায় প্রতিদিনই যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

আবার আরেকটি ১০ ডিসেম্বর সামনে রেখে সামাজিক মাধ্যমে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করছেন তাসনিম খলিল ও ব্যার্গম্যানরা। ২০২২ সালের মতো আবারও প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার। এমনকি নানা কল্পকাহিনি বর্ণনা করে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছেন।

এদিকে, বিএনপিকে নিয়ে কথা বলা একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ বিদেশি কূটনীতিকরা। বরং নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করার মাধ্যমে ‘লেভেল প্লেইং ফিল্ড’ বা নির্বাচনকালীন পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগও থাকছে না বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version