Homeসর্বশেষ সংবাদমন্ত্রিত্ব হারিয়ে আয় বেড়েছে মোতাহারের

মন্ত্রিত্ব হারিয়ে আয় বেড়েছে মোতাহারের

সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের বার্ষিক আয় বেড়েছে দ্বিগুণ। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনের নৌকার প্রার্থী। তার মনোনয়ন বৈধ হিসেবে গৃহীত হয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহার হোসেনের বর্তমান বার্ষিক আয় ৩৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা। গত ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ছিল ১৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে তার বার্ষিক আয় বেড়েছে ১৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।

অপরদিকে সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে সব মিলিয়ে তার বার্ষিক আয় ছিল ১৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। যার মধ্যে কৃষি খাত থেকে ১ লাখ ১৩ হাজার, ব্যবসা থেকে ১০ লাখ এবং চাকরি থেকে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। বর্তমানে তার সেই আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ লাখ ৪১ হাজার টাকায়। যেখানে তিনি কৃষি খাত থেকে আয় দেখিয়েছেন ৩ লাখ ১৭ হাজার, বাড়ি বা দোকান ভাড়া থেকে ২ লাখ ৮৫ হাজার, ব্যবসা থেকে ২০ লাখ, চাকরি থেকে ৬ লাখ ৬০ হাজার এবং ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সুদ বাবদ ৮০ হাজার টাকা।
এখানে উল্লেখ্য, গত সংসদ নির্বাচনে তিনি বাড়ি বা দোকান ভাড়া থেকে এবং ব্যাংক থেকে সুদ বাবদ কোনো আয় না দেখালেও এবারে তিনি তা দেখিয়েছেন।

অন্যদিকে মোতাহার হোসেনের নগদ টাকার পরিমাণ সামান্য কমলেও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ গতবারের চেয়ে বেড়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৮ সালে তাঁর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ৩২ লাখ ৬ হাজার টাকা। বর্তমানে তার নগদ অর্থ রয়েছে ২৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।

মটরগাড়ি (বাস, ট্রাক, মটরগাড়ি, মোটরসাইকেল ইত্যাদি) থেকে তার বর্তমান আয় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা গতবার যা ছিল ৬৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে গতবারের ৬ দশমিক ২১ একর কৃষিজমি বেড়ে ৭ দশমিক ২১ একর এবং এক কোটি ৪ লাখ টাকার আবাসিক ও বাণিজ্যিক দালান বর্তমানে এক কোটি ৭২ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে হলফনামায়। এছাড়া রাজউকের ২০ লাখ টাকা মূল্যের একটি প্লট, ৪০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার দেখানো হয়েছে দুইবারের হলফনামাতেই।

২০০৮ সালের নবম নির্বাচনের পরে তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালে দশম নির্বাচনের পর তার মন্ত্রিত্ব চলে যায়। কিন্তু ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামা হিসেবে সে সময় তার সম্পদ বাড়ে ১৬ গুণের বেশি।

Exit mobile version