পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগ মুহূর্তে উত্তপ্ত অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট। ৫ বছর আগের বল টেম্পারিং ইস্যু নিয়ে মিচেল জনসনের কটুক্তির জবাব দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। যদিও ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট সিরিজের আগে খুব বেশি ঝামেলায় যেতে চাননি এই ওপেনার। এদিকে, সতীর্থকে সমর্থন দিচ্ছেন দিচ্ছেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
সবই চলছিল ঠিকঠাক। বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের পর শান্তির বাতাস বইছিলো অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাঙ্গণে। কিন্তু, শান্ত পরিবেশ অশান্ত করে তুললেন ঘরেরই এক ছেলে। ডেভিড ওয়ার্নারকে নিয়ে কটুক্তি করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মিচেল জনসন। পাল্টা উত্তর দিতে দেরি করেননি ওয়ার্নাররাও। কথার লড়াইয়ে উত্তপ্ত অজি ক্রিকেট।
২০১৮ সালের স্যান্ডপেপার গেট ইস্যু নতুন করে উস্কে দিয়েছেন জনসন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরুন ব্যানক্রফট। ঐ ইস্যুতে ওয়ার্নারকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন সাবেক অজি পেসার।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলেই আনুষ্ঠানিকভাবে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন ওয়ার্নার। তার ফেয়ারওয়েল সিরিজ নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও। কিন্তু, এটা মোটেও পছন্দ হয়নি জনসনের। এক সাক্ষাৎকারে সরাসরি বলে বসেন- বিতর্কিত ক্রিকেটারকে কেন এমন ঢাকঢোল পিটিয়ে বিদায় জানাতে হবে!
জনসনের ঐ আক্রমণাত্মক কথার পর ওয়ার্নারের প্রতিক্রিয়া জানার অপেক্ষায় ছিলেন সবাই। খুব বেশি সময় নেননি ওয়ার্নারও। তিনি বলেন, ‘বিতর্ক ছাড়া কি নতুন মৌসুম শুরু হতে পারে! তবে, এ নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত থাকবে। আমি শুধু টেস্ট সিরিজটা নিয়ে ভাবছি।’
ঝাঁজালো কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি ওয়ার্নার। ভাবনা জুড়ে কেবলই টেস্ট ক্যারিয়ারের সফল সমাপ্তি। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট সিডনিতে। নিজের হোম গ্রাউন্ড এসসিজিতেই সাদা পোশাকের ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন এই ওপেনার।
১৪ ডিসেম্বর পার্থে শুরু হবে সিরিজ। দ্বিতীয় টেস্ট মেলবোর্নে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজ হওয়ায় আপাতত বাইরের কথাবার্তা নিয়ে মাথা ঘামাতে চায়না অস্ট্রেলিয়া দল। অধিনায়কের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন ওয়ার্নার-স্মিথরা।
এ নিয়ে কামিন্স বলেন, ‘ডেভি আর স্মিথের সঙ্গে বহু বছর ধরে খেলছি। আমরা একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। একে অপরকে নিয়ে প্রোটেক্টিভ। দলের মধ্যে সহযোগিতার যে সংস্কৃতি রয়েছে, সেটা বজায় রাখতে হবে আমাদের।’
তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, অ্যাশেজ ও বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের চিন্তার কারণ হতে পারে ৫ দিনের ক্রিকেটে ওয়ার্নারের ফর্ম। মাঠে পারফর্ম করেই সব বিতর্ক গা থেকে মুছে ফেলতে চান এই ব্যাটার।