মাসুদ সরকার, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি।।
নওগাঁর ধামইরহাটে ২ শত বছরের পুরনো শালবন ঘেরা আলতাদিঘী এখন আর্কষনীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সর্বজনের নিকট পরিচিত। প্রতিদিন স্কুল/কলেজের শিক্ষার্থী সহ নানা বয়সী নারী/পুরুষ এসে ভিড় জমায় এখানে। জাতীয় উদ্যান ঘোষনার পর পর্যটকের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে গড়ে উঠেছে নানা অবকাঠামো। এতে খুশি পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধারণরা। পর্যটন বিকাশে এ উন্নয়ন কার্মকান্ড বলে জানিয়েছেন বন বিভাগ।
ধামইরহাটে ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানের মধ্যে আলতাদিঘী অন্যতম। নওগাঁ জেলা শহর থেকে প্রায় ৫৬ কিলো মিটার উত্তরে ভারতীয় সীমান্তের কোল ঘেঁষে এবং জয়পুরহাট জেলা শহর থেকে ১৯ কিলো মিটার পশ্চিমে এ জাতীয় উদ্যানের অবস্থান। সীমান্ত ঘেঁষা দিঘীটি ঘিরে রয়েছে ২৬৪.১২ হেক্টর শালবন। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমন পিপাসুরা প্রাকৃতিক সুন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন এখানে। প্রকৃতিক ভাবে গড়ে ওঠা শালবনের সারি সারি গাছের সুন্দর্য ও বিভিন্ন প্রজাতীর পাখির ছুটাছুটি আর ডাক শুনে ভ্রমন পিপাসুরা হারিয়ে যায় মনোমুগ্ধকর পরিবেশে।
১৩ বছর পর আলতাদিঘীতে বিশ্রামাগার, পিকনিক স্পট নির্মাণ ও রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হওয়ায় মহা খুশি এলাকার জনসাধারণ, পর্যটক সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজাহার আলী মন্ডল বলেন, “ধন্যবাদ জানায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এখানে যে উন্নয়ন মুলক কাজের অনুুদান এবং তার সহযোগিতা পর্যটন ও স্থানীয়দের কথা ভেবে।”
আলতাদিঘীর উন্নয়নের সবধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানালেন বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. ফরহাদ জাহান (লিটন)। তিনি বলেন, আলতাদিঘীর পুনখননের কাজ প্রায় শেষের পথে। কাজগুলো সম্পর্ন হলে আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানের পর্যটকদের আর্কষন বাড়াবে। বন মন্ত্রণালয় ২০১১ সালে আলতাদিঘীকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়েছে।
আলতাদিঘীতে বেড়াতে আশা জয়পুর হাটের এক দম্পতি জানান, আলতাদিঘীতে ঘুরতে এসেছি ঘুরে ঘুরে দেখলাম এখানকার বিশাল শালবন, বেতের জঙ্গল ও উই পোকার শৈল্পিক কারুকাজে উচু ঢিবি আমাদের খুব ভালো লেগেছে। অপরদিকে পত্নীতলার এক পর্যটক বলেন, আলতাদিঘী সংস্কারের ফলে নতুন করে দিঘীর জৌলুস ফিরে পেয়েছে। এখন আগের চেয়ে অনেক সুন্দর লাগছে।