ভারতের পেঁয়াজ রফতানি নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার খবরে দেশের বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। একরাতের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম পাইকারি বাজারে কেজিতে বেড়ে গেছে ৮০ টাকা পর্যন্ত আর দেশিতে বেড়েছে ৬০ টাকা।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর শ্যামাবাজার, হাতিরপুল, কারওয়ানবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বিক্রেতারা জানান, বাজারে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত পেঁয়াজ নেই। পাশাপাশি পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। এতে নতুন করে বাড়ছে দাম।
পাইকাররা জানান, গতকাল যে মানের ভারতীয় পেঁয়াজ রাজধানীর শ্যামাবাজারে বিক্রি হয়েছে ১০২ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে আজ তা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায়। দেশি পুরনো পেঁয়াজের দাম একরাতে ৬০ টাকা বেড়ে আজ সকাল থেকে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি দরে। আর দেশি নতুনের দাম ১০৫ টাকা থেকে ঠেকেছে ১৪০ টাকায়।
তবে বাজারের এই অস্থিরতাকে সাময়িক বলছেন তারা। বাজারে পেঁয়াজ কম। পাশাপাশি ভারতের পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞার খবরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দাম বাড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাইকারি ব্যবসায়ীদের। নতুন পেঁয়াজ পুরোদমে ওঠা শুরু হলে দাম কমে যাবে বলেও মত তাদের।
পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের মেসার্স আহসান বাণিজ্যালয়ের আক্কাস জোয়ার্দার বলেন,
ভারতে পেঁয়াজের দাম বেশি। শিগগিরই নতুন পেঁয়াজ উঠবে। তাই আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। তাই সরবরাহ কিছুটা কম থাকায় পেঁয়াজের দাম সাময়িক বেড়েছে।
তিনি বলেন, দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। আবহাওয়ার কারণে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে গেলেই দাম আবার কমে যাবে।
পেঁয়াজ আমদানিকারক ও শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মাজেদ বলেন,
ভারত পেঁয়াজ রফতানি নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় এর প্রভাব পড়বে দেশের বাজারে। এমনিতেই বাজারে দাম ঊর্ধ্বমুখী। নিষেধাজ্ঞার এ খবরে দাম আরও বাড়ছে।
তবে পেঁয়াজের এই ঊর্ধ্বমুখী বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ক্রেতারা। তাদের দাবি, ভারতের পেঁয়াজ রফতানি নিষেধাজ্ঞাকে পুঁজি করে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এই সিন্ডিকেট না ভাঙলে আবারও ৩০০ টাকা ছাড়াতে দাম।
তবে পেঁয়াজ রফতানিতে নতুন এ নিষেধাজ্ঞার ফলে আগামী জানুয়ারিতে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দামে বড় ধরনের পতনের আশঙ্কা করছেন দেশটির ব্যবসায়ী ও কৃষকরা।