অনিয়মের অভিযোগে এডনালদো রদ্রিগেজকে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ছাঁটাই করেছে রিও ডি জেনেরোর কোর্ট। অন্যদিকে ব্রাজিলের ফুটবলে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে সতর্ক বার্তা পাঠিয়েছে ফুটবলের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা-ফিফা। প্রমাণ মিললে আসতে পারে নিষেধাজ্ঞাও।
বৃহস্পতিবার ( ৭ ডিসেম্বর) এডনালদোকে পদ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরোর স্টেট কোর্ট। এরপরই সিবিএফের নিকট ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে চিঠি পাঠায় ফিফা।
যৌন হয়রানির অভিযোগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে রোজেরিও ক্যাবোকলো নিষেধাজ্ঞায় পড়লে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিবিএফের দায়িত্ব নেন এডনালদো। এরপর গত বছর নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি স্থায়ীভাবে প্রেসিডেন্ট পদে বহাল হন। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৬ সালে।
কিন্তু সিবিএফের কিছু নির্বাহী কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আনে। যার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রিও ডি জেনেরোর কোর্ট থেকে আসে নির্দেশনা। এডনালদোকে তার পদ থেকে ছাঁটাই করে ৩০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নির্দেশ দেয় ব্রাজিলের স্টেট কোর্ট। এ সময়ে সিবিএফের দায়িত্বপালন করবেন দেশটির ক্রীড়া আদালতের প্রধান জোসে পারদিজ। তার অধীনেই হবে নতুন নির্বাচন।
তবে এখনই সবকিছু চূড়ান্ত নয়। আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন এডনালদো।
এদিকে তাকে ছাঁটাই করার ঘটনায় সিবিএফের সাধারণ সম্পাদক রেইস রোচার কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ফিফা। সতর্ক করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, স্বাধীনভাবে কাজ করার পথে যদি তৃতীয় কোনো পক্ষ হস্তক্ষেপ করে তাহলে ফিফার আইনানুযায়ী নিষেধাজ্ঞায় পড়বে সিবিএফ। তাতে আন্তর্জাতিক কোনো খেলায় বা ইভেন্টে অংশ নিতে বাধার সম্মুখীন হবে ব্রাজিলের ফুটবলার, ম্যাচ রেফারি ও অফিশিয়ালরা।
এডনালদোকে যদি শেষ পর্যন্ত তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়, তাহলে ব্রাজিলের ডাগআউটে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তির দেখা পাওয়া অনিশ্চয়তায় চলে যাবে। কারণ এ ইতালিয়ান কোচকে আনার জন্য তিনি প্রাণপণ চেষ্টা করলেও নতুন প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনা ভিন্নও হতে পারে।