ইউরোপ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে, সৌদি আরবের লিগে খেলার কথা বেশ ভালোভাবেই বিবেচনা করেছিলেন লিওনেল মেসি। তবে শেষ পর্যন্ত মধ্য প্রাচ্যে না গিয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে যোগ দেন এলএমটেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন লিও। যেভাবে সৌদি লিগ এগুচ্ছে, তাতে সামনে ফুটবল বিশ্বে শক্ত একটা অবস্থানে তারা পৌছাবে বলেও আশা করেন মেসি।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ইউরোপ থেকে উড়িয়ে নেয়ার পর, পুরো ফুটবল বিশ্ব নতুন করে চিনেছে সৌদি আরবকে। রোনালদোকে অনুসরণ করে ইউরোপের শীর্ষ লিগ ছেড়ে সৌদিতে যোগ দিয়েছে ফুটবলের বড় অনেক নাম। যার কারণে দেশটির ক্লাব ফুটবলে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। পুরো বিশ্ব এখন খবর রাখে সৌদি ক্লাব ফুটবলের।
নেইমার-বেনজেমা-সাদিও মানেদের সঙ্গে উচ্চারিত হতে পারতো আরও একটা নাম, লিওনেল মেসি। এশিয়ার সবচেয়ে সফল দল আল হিলালের সঙ্গে কথা বার্তা এগিয়েছিল অনেকদূর। মোটা অংকের বেতনও প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে না গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে যোগ দিয়ে আরও একটা বিপ্লব ঘটান মেসি।
ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে ভালোভাবেই মানিয়ে নিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা। ক্লাব ইতিহাসে প্রথম শিরোপাও এনে দিয়েছেন লিও। তবে এখনো ঘুরে ফিরে আসে মেসির আল হিলালে যোগ না দেয়ার বিষয়টি। সম্প্রতি এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন লিও।
এক সাক্ষাতকারে আর্জেন্টাইন তারকা বলেন, ‘আমার প্রথম অপশন ছিল বার্সেলোনায় ফেরা। যদিও সেটা সম্ভব হয়নি। আমি চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু অনেক জটিলতা ছিল। এটাও সত্যি এরপর আমি সৌদি আরবে যাওয়ার বিষয়েও চিন্তা-ভাবনা করেছিলাম। দেশটাকে আমি খুব ভালোভাবেই চিনি। তাদের লিগ খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। তাদের ভালো ভবিষ্যত আছে। আমার সামনে সৌদি লিগ ও এমএলএস এই দুইটা অপশন ছিল এবং দুটোই আমাকে বেশ আকৃষ্ট করেছিল।’
রোনালদো-মেসি দ্বৈরথের শুরু লা লিগা থেকে। সময়ের দুই সেরা ফুটবলারের লড়াই লা লিগাকে নিয়েছিল জনপ্রিয়তার শীর্ষে। রিয়াল-বার্সার শতাব্দী পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা পেয়েছিলো ভিন্ন মাত্রা। সৌদি ফুটবলে রোনালদোকে অনুসরণ করলে, সেখানেও নতুন মোড়কে দেখা মিলতো এই দ্বৈরথের। তবে কোটি সমর্থকের সেই স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত অপূর্ণই থেকে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল মৌসুম শেষে এখন বিশ্রামে আছেন লিও। আগামী ১৯ জানুয়ারি মাঠে ফেরার কথা ইন্টার মায়ামির। প্রাক মৌসুম প্রীতি ম্যাচে এল সালভাদরের মুখোমুখি হবে মেসির দল।