নড়াইল সদরে মো. আরিয়ান মোল্লা (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর হাত ও পায়ের রগ কেটে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগে সদরের আউড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম পলাশসহ ৬ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ভুক্তভোগী আরিয়ানের দাদি মাসুমা বেগম বাদী হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ এনে নড়াইল সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবাইদুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার বিষয়টি সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন: জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলুর দেহরক্ষী তুষার শেখ (৩৫), রয়েল শেখ (৩২), শিবশংকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রোমানা পারভিন কেয়া (৩৮), কেয়ার বাড়ি গৃহপরিচারিকা নিশি (৩০), আউড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম পলাশ (৪২), কেয়ার ছেলে মোস্তাইন হাবিব এলহান (২০)।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে অভিযুক্তরা এসএসসি পরীক্ষার্থী আরিয়ান মোল্লাকে নিজ বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে সদরের কাড়ার বিলে মুক্তার মাছের ঘের পাড়ে তার হাত-পায়ের রগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে রেখে যায়। আহত অবস্থায় আরিয়ান নিজেই অটোভ্যানে করে নড়াইল সদর হাসপাতালে পৌঁছায়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য আরিয়ানকে যশোর স্থানান্তর করা হয়।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবাইদুর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর দাদি বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের ধরতে জেলা পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছেন।’