ব্রাজিল বলতেই সবার আগে মাথায় আসে ফুটবল। আর ব্রাজিলের ফুটবলের শেষ কথা তো ‘ফুটবল সম্রাট’ পেলেই। সেই পেলে ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটাই কাটিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসে। শুধু পেলেই নন, ব্রাজিলের এই প্রজন্মের সেরা খেলোয়াড় নেইমারও উঠে এসেছেন সান্তোস থেকেই। ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্লাব সান্তোস এবার হারাল সম্মান।
ব্রাজিলের শীর্ষ লিগের দল হিসেবে একটা বিশেষ সম্মান আছে সান্তোসের। এটা যে ‘ও রেই’ বা ফুটবল সম্রাটের ক্লাব। আরও একটা জায়গায় অনন্য সান্তোস। সাও পাওলো ও ফ্লামেঙ্গোর পাশাপাশি সান্তোসও কখনোই ব্রাজিলের শীর্ষ ফুটবল লিগ সিরি আ’ থেকে অবনমিত হয়নি। তবে এবার সেই সম্মান হারিয়েছে সান্তোস। সদ্য শেষ হওয়া ব্রাজিলিয়ান সিরি আ’র এবারের মৌসুমে অবনমন ঘটেছে সান্তোসের। নেমে গেছে সিরি বি’তে।
ক্লাবটির ১১১ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম শীর্ষ লিগ থেকে অবনমন ঘটল। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ফাইনাল রাউন্ডের খেলায় ফোর্তালেজার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-১ ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় অবনমন নিশ্চিত হয় সান্তোসের।
শেষ পাঁচ ম্যাচে জয়হীন সান্তোস ৩৮ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে ২০ দলের লিগে মৌসুম শেষ করেছে ১৭তম স্থানে থেকে। ব্রাজিলের শীর্ষ লিগের নিয়ম অনুযায়ী শেষ চারটি স্থানে থাকা দল নিচের লিগ নেমে যায়। সান্তোস ছাড়াও আমেরিকা মিনেইরো, করিতিবা এবং গোইয়াসের অবনমন আগেই নিশ্চিত হয়েছিল।
ফুটবল সম্রাটের হাত ধরে সান্তোস বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত হয়ে ওঠে। ১৯৫৯-৬০ এর দশকে স্বর্ণালী সময় পার করা সান্তোস বিশ্বের সেরা ক্লাবগুলোর একটিতে পরিণত হয়। এ সময় ১০বার রাজ্য এবং ছয়বার ব্রাজিলিয়ান লিগের শিরোপা জেতে সান্তোস।
দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খ্যাত কোপা লিবের্তাদোরেসেও সাফল্য পায় পেলের সান্তোস। ১৯৬২ ও ১৯৬৩ সালে কোপা লিবের্তাদোরেসে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। একই সময়ে ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার সেরা ক্লাবদের নিয়ে আয়োজিত ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের শিরোপাও জিতে নেয় তারা।
সান্তোসের সবচেয়ে বিখ্যাত সন্তান পেলে হলেও ব্রাজিলের ফুটবলের আরও অসংখ্য পরিচিত মুখ খেলেছেন এই ক্লাবের হয়ে। এই ক্লাব থেকেই রবিনহো, নেইমার বা হালের রিয়াল মাদ্রিদের তারকা রদ্রিগো উঠে এসেছেন।