খুলনার ছয়টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে ধন-সম্পদে শীর্ষে রয়েছেন খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম মুর্শেদী। গত পাঁচ বছরে তার আয় ও সম্পদ দুটোই বেড়েছে।
হলফনামায় দেখা গেছে, খুলনা-৪ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বার্ষিক আয় ৮ কোটি দুই লাখ টাকা। তার স্ত্রীর আয় এক কোটি ৫৯ লাখ টাকা। বর্তমানে সালাম মুর্শেদীর ১৩৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে হলফনামায় দেয়া হিসাব বিবরণীতে তার সম্পদ ছিল ৯৫ কোটি ১১ লাখ টাকার। সেই হিসেবে গত পাঁচ বছরে তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকায়।
এ ছাড়া তার স্ত্রীর ১৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকার এবং নির্ভরশীলদের ২৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে। ২০১৮ সালে তার ওপর নির্ভরশীলদের সম্পদ ছিল এক কোটি ৩৩ লাখ টাকার। এই হিসেব অনুযায়ী পাঁচ বছরে তা ১৮ গুণ বেড়েছে।
হলফনামায় নিজেকে পাবলিক-প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পোশাক শিল্প, বস্ত্র শিল্প, ব্যাংক, হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে উল্লেখ করেছেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
এ ছাড়া সালাম মুর্শেদীর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ২৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা রয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার রয়েছে ৯৪ কোটি ৪২ লাখ টাকার। গাড়ি, গৃহ সম্পত্তি ছাড়াও অন্যান্য অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ২৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকার। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ১১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের ভবন। ব্যাংকে তার ঋণ রয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
গত পাঁচ বছরে সালাম মুর্শেদীর আয়ও বেড়েছে। আগে তার বার্ষিক আয় ছিল ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, যা বেড়ে এখন হয়েছে ৮ কোটি ২ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, আমার সম্পদ ও আয় বেশির ভাগই আসে ব্যবসা থেকে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। দীর্ঘদিন ধরে আমি উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছি। ক্রমান্বয়ে ব্যবসার পরিধি বাড়ছে, মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। এ ছাড়া নিয়ম অনুযায়ী স্বচ্ছতার সঙ্গে সরকারকে রাজস্বও দেন বলে জানান তিনি।