রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৬ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই আদেশ দেন।
এছাড়া বিচারক মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার জনকে খালাস দিয়েছেন। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মোস্তফা মিন্টু, শহিদুল ইসলাম ওরফে মিঠু, দিদার, রাজীব হোসেন।
মামলায় সাজা পেয়েছেন- আব্দুর রশিদ, শামসুল আলম বাবুল, প্রিন্সিপাল মো. লিয়াকত আলী, মো. পারভেজ, রমিজ উদ্দিন রমু, মিয়াজ উদ্দিন, এহসানুল হক বাবু ওরফে নুরুল আফসার বাবু, তারেকুল রাজ্জাক, নাজির উদ্দিন ওরফে দারোগা আলী, সফুর উদ্দিন ওরফে সফু, জাহিদ হাসান খান রনি, তোফাজ্জল হোসেন বাবু, আবুল হোসেন, মাঈনুল ইসলাম অমি, মো. আরিফুল ইসলাম তুহিন, তাসলিমা আক্তার ভূঁইয়া বেবী, মো. জিন্নাত আলী, মো. শাহজালাল শেখ সুমন, মো. ছাইফুল ইসলাম, মো. কবির, মো. সাদ্দাম হোসেন রাব্বি, মোমিনুল হক অপু, মো. মোশারফ হোসেন, মো. হেলাল উদ্দিন হেলু।
এর মধ্যে বিচারক আব্দুর রশিদ, প্রিন্সিপাল মো. লিয়াকত আলী, মো. পারভেজ, তারেকুল রাজ্জাক ওরফে তারেক, সফুর উদ্দিন ও সফু, জাহিদ হাসান খান রনি, তোফাজ্জল হোসেন বাবু, মাঈনুল ইসলাম ওরফে অমি, মো. আরিফুল ইসলাম তুহিন, মো. জিন্নাত আলী, মো. শাহজালাল শেখ সুমন, মো. সাদ্দাম হোসেন রাব্বি ও মোমিনুল হক অপুসহ ১৪ জনকে দণ্ডিবিধির ১৪৩ ধারায় ৬ মাস এবং দণ্ডবিধির ৩৩২ ও ৩৫৩ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। অপরদিকে বাকি সাত আসামিদের দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় ৬ মাস এবং দণ্ডিবধির ৩৩২ ও ৩৫৩ ধারায় এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন।
এছাড়া নারী বিবেচনায় তাসলিমা আক্তার বেবিসহ ৬ জনকে দণ্ডিবিধির ৩৪৩, ৩৩২ও ৩৫৩ ধারায় ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন বিচারক। এ মামলায় কবির নামের এক আসামি কারাগারে রয়েছেন। তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় ও বাকি আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে ৩০ জন আসমির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।