ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মারাপি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে নিখোঁজ ৯ পর্বতারোহীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে অগ্নুৎপাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২। খবর বিবিসির।
রোববার (২ ডিসেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে মাউন্ট মারাপি আগ্নেয়গিরি লাভা ছাড়াতে শুরু করে। এ সময় ওই এলাকায় অবস্থান করা ৭৫ জনের মধ্যে ২৬ জনকে সরিয়ে নেয়া যায়নি বলে জানান কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ১৪ জনকে খুঁজে পান উদ্ধারকর্মীরা। যার মধ্যে ১১ জনকে মৃত, আর ৩ জনকে জীবিত পাওয়া যায়।
এছাড়াও নিখোঁজ আরও ১০ জনকে খুঁজছিলেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে উদ্ধার অভিযান সাময়িক স্থগিত করা হয়েছিল। এরপর মঙ্গলবার আবারো উদ্ধার অভিযান শুরু করলে ৯ জনের মরদেহ খুঁজে পান তারা।
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১০ জনের মধ্যে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছে। অগ্ন্যুৎপাতে আহত ১২ পর্বতারোহী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মারাপির পর্যবেক্ষক আহমেদ রিফানদি বলেছেন, মঙ্গলবারও সেখানে পাঁচবার অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘মারাপি আগ্নেয়গিরি এখনও খুব সক্রিয় রয়েছে। মেঘের কারণে আমরা অগ্ন্যুৎপাতের উচ্চতা দেখতে পারিনি।’
প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত হওয়ায় ইন্দোনেশিয়ায় ১২৭টি আগ্নেয়গিরি সক্রিয় রয়েছে। মাউন্ট মারাপি বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার চার স্তরের সতর্কতা স্কেলের দ্বিতীয় স্তরে আছে। এটি সুমাত্রার সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৭৯ সালে মারাপির ভয়ংকর অগ্নুৎপাতে ৬০ জনের মৃত্যু হয়।