বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচার এরশাদ যেমন জনরোষ থেকে বাঁচতে না পেরে, পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন। তার মতো এ মাসেই অবৈধ সরকারের পতন হবে।
বিএনপিসহ সমমনাদের ডাকা ১০ম দফা অবরোধের প্রথম দিনে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে রাজশাহীতে জেলা যুবদল ও জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে অবরোধের সমর্থনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ, মিছিল ও পিকেটিং শেষে তিনি এসব কখা বলেন।
রাজশাহী মহানগরীর তেরোখাদিয়া স্টেডিয়ামের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু করে সিটি হাট রোডের ডাবতলার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এরপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রিজভী বলেন,
জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ আবারও সন্ত্রাসী কায়দায় জনগণের ভোটাধিকার হরণের সব পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। তবে জনগণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপিসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক দল, চূড়ান্ত আন্দোলনে শামিল হয়ে সব অপচেষ্টা বানচাল করে দেবে।
রিজভী বলেন, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে, মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। গণতন্ত্রকামী বিরোধী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর জেলজুলুম চালিয়ে এবার আর শেষ রক্ষা হবে না তাদের।
তিনি আরও বলেন,
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার এরশাদ যেমন, জনরোষ থেকে বাঁচতে পারেননি, পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এ সরকারও জনরোষ থেকে বাঁচতে পারবে না। বিজয়ের মাসেই (ডিসেম্বর) তাদের পতন হবে। তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে হবে তাদের।
অবধৈ সরকারের পদত্যাগ, একতরফা পাতানো নির্বাচনের তফসিল বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিএনপির ডাকা ১০ম দফা অবরোধের প্রথম দিনে নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল-মিটিং করেন বিএনপির এ নেতা।
মিছিলে প্রধান হয়ে নেতৃত্ব দেন রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী জেলা যুবদলের সদস্য সচিব রেজাউল করিম টুটুল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, শাহনেওয়াজ খুরশিদ রিজভী, রনি প্রাং। এছাড়াও বাগমারা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আব্দুল মালেক মানিক, বাগমারা উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি শহিদুজ্জামান মুকুল।
আরও যারা ছিলেন, ভবানীগঞ্জ পৌরসভা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল হোসেন, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল আহমেদ বাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদ হোসেন, মুনজুর রহমান রেন্টু, ইব্রাহিম হোসেন, সদস্য মিনারুল ইসলাম।
এছাড়াও বাগমারা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান টিপু, ভবানীগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ডিএম শাহীন, যুগ্ম আহ্বায়ক দুলাল হোসেন, রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম সরকার, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান রুবেল, হাফিজুর রহমান হাফিজ, নাজমুল হোসেন,উজ্জ্বল হোসেন, মোতালেব হোসেন, ফায়সাল হোসেন। এছাড়াও বাগমারা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহব্বত হোসেন, তাহেরপুর পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সোহেল রানা, যুগ্ম আহ্বায়ক ইসাহাক আলী, দূর্গাপুর পৌর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সোয়াদ আলী, পবা উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, গোদাগাড়ী পৌরসভা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মবিন, রানা।
ওই মিছিলে যোগ দেন যুবদল নেতা ইয়ামিন আলী, রাকিব হাসান, আসলাম হোসেন, আব্দুল মনিম রবি, বাবুল হোসেন, রায়হানুল হক, আসাদুল ইসলাম, মনির হোসেন, ইনতাজ আলী, খলিলুর রহমান, সজল আলী ছাড়াও, মুনসুর রহমান, জালাল উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা রায়হান আলী, আরাফাত রহমান তিতু। পিন্টু আলী, রাফি আহমেদ, রায়হান সরকার, আরিফুল ইসলাম, পলাশ আহমেদ, শাকিল আহমেদ, শাহীন রেজা, মধু ইসলাম, আতিক হাসান, শিমুল আহমেদসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।