পাকিস্তানে সরকারি গোপন নথি ফাঁসের ঘটনায় মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু জড়িত। এমন দাবি করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার অভিযোগ, ডোনাল্ড লুর নির্দেশনায় সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া নথি ফাঁসের ঘটনায় কলকাঠি নেড়েছেন।
সাইফার মামলায় সাক্ষী হিসেবে সাবেক সেনাপ্রধান ও মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাক্ষী করতে আদালতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন পিটিআইয়ের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ইমরান খান। আগামী ১২ ডিসেম্বর বিশেষ আদালতে মামলায় অভিযুক্ত হতে পারেন ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। খবর জিও নিউজের।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাচত্বরে এই মামলার শুনানির সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপে ইমরান বলেন, ‘ডোনাল্ড লুর কথামতোই সব করেন জেনারেল বাজওয়া।’
তিনি আরও বলেন,
এই মামলায় (সাইফার) জেনারেল বাজওয়া ও মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাক্ষী হিসেবে দেখতে চাই আমি। ডোনাল্ড লুর কথামতোই সব করেন জেনারেল বাজওয়া।
এ সময়, দেশটির আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচনে পিটিআই জিতবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন ইমরান খান। এছাড়া একটি পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে রাখা হয়েছে বলেও দাবি করেন পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
গেল বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারান ইমরান খান। কূটনৈতিক তারবার্তার মাধ্যমে তিনি সে সময় দাবি করেছিলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র করেছিল।
ইমরানের আইনজীবীরা বারবার দাবি করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই তারবার্তা ফাঁস মামলা সাজানো হয়েছে।