আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগিতে নয়। এককভাবেই লড়তে প্রস্তুত দল-এমনটি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) রাজনধানীর বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব একথা বলেন তিনি।
জাপা মহাসচিব বলেন,
সুষ্ঠু ভোট হলে ৩৩ বছর পর আবারও ক্ষমতায় আসবে জাপা। আর সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগিতে নয়। এককভাবেই লড়তে প্রস্তুত দল।
এর আগে দলীয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় পার্টি (জাপা) এককভাবে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম নেননি দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। এতে ৩২ বছর পর রওশনকে ছাড়াই নির্বাচনে পথে হাঁটল জাপা। এ অবস্থায় নির্বাচনী আমেজে জাপায় চলছে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ। নির্বাচন ঘিরে নতুন প্রেক্ষাপটে দেবর-ভাবির পুরনো দ্বন্দ্ব। গুঞ্জন থাকলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এবার তা স্পষ্ট প্রকাশ্যে। রাজনীতির মারপ্যাঁচে দলের পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদকে হারিয়ে নির্বাচনী মাঠে টিকে থাকলেন চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
জাতীয় পার্টি এবার এককভাবে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণার পর ২৮৮ আসনে প্রার্থী দেয় দলটি। কিন্তু রওশনকে ছাড়াই নির্বাচনের মাঠে এরশাদের দল।
সম্প্রতি দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির চেয়্যারম্যান ও মহাসচিব সহযোগিতা না করার কারণে পরীক্ষিত নেতাদের মনোনয়ন দেয়া হয়নি।
আর দলে কোনো বিভেদ নেই দাবি করে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানান, রওশন এরশাদকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছাই ছিল না তার (রওশন এরশাদ)।
চুন্নু বলেন,
৩টি আসনের মনোনয়ন ফরম নিয়ে আমরা বসে ছিলাম। ম্যাডামের সঙ্গে একাধিকবার টেলিফোনে আলাপ হয়েছে। কয়েকবার বলেছি, আপনার ফরমগুলো কী করবো? তিনি বলেছিলেন, লোক পাঠাবেন। তিনি বললে বাসায় গিয়েও দিয়ে আসতাম। কিন্তু তিনি লোকও পাঠাননি, বাসায় গিয়ে দিয়ে আসতেও বলেননি। এতে বুঝা গেল, ম্যাডামের হয়ত নির্বাচন করার ইচ্ছাই নেই। আর সেজন্যই হয়ত মনোনয়ন ফরম নেননি।
তিনি জানান, দল থেকে বহিষ্কৃত কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে না, সেটা আগেই নির্ধারিত করা ছিল। দলের যারা চেয়েছিলেন, তাদের সবাইকেই মনোনয়ন ফরম দিয়েছি। কিন্তু দল থেকে বহিষ্কৃত কেউ আসলে তো মনোনয়ন ফরম দেব না। সেটা আমরা আগেই বলে দিয়েছিলাম।