আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলটির ঊর্ধ্বতন নেতারা বৈঠকে বসেছিলেন। কিন্তু প্রায় পৌনে ৪ ঘণ্টা বৈঠক হলেও শরিকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি তারা।
ফলে কোন কোন আসনে শরিকদের ছাড় দেয়া হচ্ছে, সেটি জানতে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এদিনে বেলা ১২টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে জানাবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এর আগে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর গণভবনে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক উপলক্ষে মাগরিবের পর থেকে গণভবনে প্রবেশ করেন জোট নেতারা। রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নজিবুল বশরসহ শরিক দলের শীর্ষ নেতারা গণভবনে প্রবেশ করেন।
আর আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু।
বৈঠক শেষে ১৪ দলের নেতারা জানান, ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ওপর আসন ভাগাভাগির ভার দেয়া হয়েছে।
এবার দুটি আসন ছেড়ে ২৯৮ আসনেই প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে তারা জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে যাবে, এ কথা নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে জানিয়েছে আগেই। একইভাবে ১৪ দলের শরিক দলগুলোও আলাদাভাবে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারির ভোটকে সামনে বৈধ ঘোষিত প্রার্থীরা আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে পারবেন। সেদিনই জানা যাবে, কারা হবেন চূড়ান্ত প্রার্থী। শেষ দিন জোটের প্রধান দল হিসেবে আওয়ামী লীগ তার নিজের ও শরিকদের নাম পাঠাবে নির্বাচন কমিশনে।
২০০৮ সাল থেকেই ১৪ দলীয় জোট একসঙ্গে নির্বাচন করে আসছে। সবশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনেও শরিক দলের আট নেতা নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবারও জোটের শীর্ষ নেতারা নৌকা প্রতীকেই ভোট করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।