জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু। তবে ছোট দেশে বড় নেতা হওয়ায় ষড়যন্ত্র থাকাটা স্বাভাবিক বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির ৮৫তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
আমু বলেন, প্রতিকূলতা ঠেলে গণতান্ত্রিক ধারা ধরে রাখতে জাতীয়-আন্তর্জাতিক সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছে। কিন্তু এর মধ্যে ছোট দেশ, বড় নেতা। তাই ষড়যন্ত্র হওয়াটা স্বাভাবিক।
জনগণ আবারও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের পক্ষে রায় দেবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য এ সদস্য। তিনি বলেন, মানুষ নির্বাচনমুখী। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকার দেশের অগ্রযাত্রা এগিয়ে নেবে।
যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, অনেকে মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক কিছুর দাবিদার মনে করেন। কিন্তু মূল জায়গায় ছিলেন শেখ মনি। বাংলাদেশের রাজনীতির গতিধারা পরিবর্তনের নায়ক শেখ মনি।
দুয়েকটা পটকা মেরে মুজিব আদর্শের সৈনিকদের ভয় দেখানো যাবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে ১৮ তারিখ থেকে আমরা বাংলার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ছড়িয়ে পড়ব। আমরা আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয়ী করব, এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
নাছিম বলেন, বিএনপি-জামায়াতের শেষ অস্তিত্বটুকু আজ বিলীন হওয়ার পথে। অপশক্তির ব্যর্থ আন্দোলনে মানুষ অতিষ্ঠ। এখন তাদের অবরোধে দেখা যায় রাস্তায় রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম। হরতাল নিয়ে মানুষের মনে শ্রদ্ধা ছিল। এ অপশক্তির কারণে মানুষ এখন হরতালকে ঘৃণা করছে। হরতাল-অবরোধের নামে তারা সন্ত্রাস করে। বিএনপি ও জামায়াতের ভয়ের রাজনীতি, সন্ত্রাসের রাজনীতি চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।
যে কোনো সংকটে নিপীড়িত মানুষের পক্ষে যুবলীগ নেতৃত্ব দেবে জানিয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, শেখ হাসিনার জন্য সর্বোচ্চ আত্মাহুতি দিতে গর্ববোধ করেন যুবলীগ কর্মীরা। রাজপথে যুবলীগ যেমন প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করছে, তেমনি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সমুন্নত রাখার প্রশ্নে সজাগ থাকতে হবে।
পরশ বলেন, মৌলবাদ-দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে না করলে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা মুখ থুবড়ে পড়বে। জনগণের পাশে থাকার রাজনীতি আমরা করেই যাব, সামাজিক আন্দোলন চালিয়ে যাব।
‘সন্তান হিসেবে শেখ মনির জন্য আমি গর্বিত। মুজিব বাহিনীর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সবার আগে তিনি সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। শেখ মনি কেবল নেতা নন, তিনি ছিলেন সর্বোপরি একজন রাজনৈতিক কর্মী। আমাদেরও তাই নেতা হওয়ার আগে কর্মী হতে হবে। শেখ মনি বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা অসম্ভব ছিল,’ যোগ করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান।