আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপিসহ সমমনাদের ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে এ অবরোধ চলবে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে এ নিয়ে নবম দফা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে তারা। অবশ্য এর মধ্যে তারা কয়েক দফা হরতালও পালন করেছে।
এদিকে, শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকার সায়েদাবাদ, গাবতলীও আগারগাঁওয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে অবরোধ সমর্থনকারীরা। তবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। রাজধানীর এসব জায়গাতে অবরোধ শুরুর আগেই বাসে আগুন দেয়া হয়। তবে এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে, শনিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপির ডাকা ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে। সারা দেশে রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের পর এ নিয়ে নবম দফায় অবরোধ এটি। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অষ্টম দফায় দেশজুড়ে ২৪ ঘণ্টার অবরোধ চলে।
রিজভী বলেন,
‘মাত্র একজন ব্যক্তির অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার উদগ্র লিপ্সার কারণে বাংলাদেশ এখন চরম বিপর্যয়ের মুখে। বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। ভোট ডাকাত শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী দুর্নীতিবাজরা দেশটাকে তাদের লুটপাটের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছে। আওয়ামী লুটেরা চক্র শুধু অর্থনৈতিকভাবে দেশটাকে দেউলিয়া করেনি, দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতাও বিপন্ন করে দিয়েছে। এই লুটেরা চক্র শুধু বর্তমান প্রজন্মকেই নয়, দেশের ভবিষৎ প্রজন্মকেও ঋণে ডুবিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাস্তবতা হলো – দেশের ১৮ কোটি মানুষ এই নির্বাচন করতে দেবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন দেশের মাটিতে হবে না। আমি এই মুহূর্তে একতরফা প্রতিযোগিতাহীন ভোটারদের সাথে তামাশার নির্বাচনের সার্কাস বন্ধ ও সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, ঢাকায় গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরদিন ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে বিএনপি। এরপর বিভিন্ন মেয়াদে আটবার অবরোধের ডাক দেয় দলটি।