ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়ে শীর্ষ স্থানটা দখলে নিয়েছিল পুঁচকে জিরোনা। ইনজুরি জর্জরিত রিয়াল মাদ্রিদের কাছে বিষয়টা ভালো লাগছিল না। লিগ টেবিলের অবনমন অঞ্চলে থাকা গ্রানাডার বিপক্ষে জয় দিয়েই জায়গাটা নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে লা লিগার সফলতম দলটি। দুরন্ত ফর্মে থাকা রদ্রিগো আরও একদিন দলের জয়ের নায়ক বনে গেলেন।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বের্নাব্যুয়ে গ্রানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে শিরোপাপ্রত্যাশী রিয়াল মাদ্রিদ। ব্রাহিম দিয়াসের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর রদ্রিগোর গোলে জয় নিশ্চিত করে লস ব্লাঙ্কোরা।
দিনের প্রথম ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল এই মৌসুমে চমক দেখানো জিরোনা। তাই স্থান পুনরুদ্ধারে জয়ের বিকল্প ছিল না রিয়ালের। ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয় না পেলেও দারুণ আধিপত্য দেখিয়েছে লস ব্লাঙ্কোরা। গ্রানাডা কোনো চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেনি।
ঢিমেতালে শুরু হওয়া ম্যাচের প্রথম পনেরো মিনিটে কোনো দলই বলার মতো আক্রমণ করতে পারেনি। এরই মধ্যে সপ্তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় সফরকারী দলটি। অজানা কারণে শারীরিকভাবে অস্বস্তি বোধ করেন গোলরক্ষক রাউল ফার্নান্দেস। চার মিনিট এ সময় খেলা বন্ধ থাকে। তার বদলি হিসেবে এর পর নামেন আন্দের ফেরেইরা।
বল পজেশন ধরে খেলতে থাকা রিয়াল এগিয়ে যায় ২৬ মিনিটের সময়। এটিই গোলে রিয়ালের প্রথম শট ছিল আর তাতেই গোলের দেখা পায় স্বাগতিকরা। টনি ক্রুসের ডি-বক্সে বাড়ানো দারুণ থ্রু-পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দ্বিতীয় স্পর্শেই গোল করেন স্প্যানিশ উইঙ্গার দিয়াস।
দারুণ ছন্দে থাকা জুড বেলিংহাম ৪১ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ডি-বক্সে ঢুকে তার নেওয়া কোনাকুনি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৫৭ মিনিটে ফের সুযোগ নষ্ট করেন বেলিংহাম। তবে সেই আক্রমণ থেকেই গোল পায় তারা। দিয়াসের পাস বক্সের ভেতরে পেয়ে শট নিয়েছিলেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার, কিন্তু সে শট গ্রানাডার গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন, তবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। আলগা বল ফাঁকায় পেয়ে গোল করেন রদ্রিগো।
লা লিগায় এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচে গোলের দেখা পেলেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। রিয়ালের জার্সিতে শেষ পাঁচ ম্যাচে ৭ গোল ও ৫ অ্যাসিস্ট করেছেন রদ্রিগো।
গোটা ম্যাচে রিয়ালের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে মাত্র একটি শটই নিতে পেরেছে গ্রানাডা।
এই জয়ে ১৫ ম্যাচে ১২ জয় ও ২ ড্রয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠেছে রিয়াল। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট জিরোনারও। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় দুইয়ে জিরোনা। দুই ম্যাচ কম খেলা অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ ৩১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে। এক ম্যাচ বেশি খেলা বার্সেলনার পয়েন্টও সমান। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় কাতালানরা চার নম্বরে।