Homeরাজনীতিস্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে: নানক

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে: নানক

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা দলের মনোনয়ন দেয়ার আগে সবশেষ বৈঠকে কিছু ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই বিষয়গুলো (স্বতন্ত্র প্রার্থী) সম্পর্কে কোনো কথা বলার বা সিদ্ধান্ত অকারে জানানোর আগে একটু আমাদের সময় দিতে, মনোনয়ন প্রত্যাহারের তারিখ পর্যন্ত।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘোষণার পর  সম্প্রতি সময় সংবাদকে এ সব কথা বলেন তিনি।

এদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই হিড়িক পড়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়ন কেনার। এরইমধ্যে মনোনয়ন বঞ্চিত বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা বলছেন, দল থেকে সবুজ সংকেত পেয়েই মাঠে নামছেন।

অংশগ্রহণমূলক আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিতে এমন ইঙ্গিত দেয়া হলেও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান,

এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে মনোনায়নপত্র প্রত্যাহারের সময়।

গত ২৬ নভেম্বর সকালে গণভবনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে বিদ্রোহী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে কিছুটা নমনীয় বার্তা দেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা বলে জানা গেছে। ওইদিন বিকেলেই ৩০০ আসনের বিপরীতে ২৯৮টি আসনে নিজেদের প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। বাদ পড়েন প্রায় একাত্তরজন সংসদ সদস্য। এছাড়াও মনোনয়নের দৌড় থেকে ছিটকে যান একাধিক মন্ত্রী, সাবেক মেয়র, দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা বেশ কিছু নেতা, ব্যবসায়ী ও সাবেক আমলাও।

তবে বর্তমান বাস্তবতায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কিছুটা নরম সুরে কথা বলায় এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হবার হিড়িক পড়েছে দলটি থেকে।মনোনয়ন বঞ্চিত বরিশালের সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লার পক্ষে মনোনয়ন কিনেছেন মহানগর আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের মিত্র হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়ী নেতা একে আজাদও জানান, গ্রিন সিগন্যাল পেয়েই মাঠে নেমেছেন তিনি। তালিকায় আছেন দলে ও অঙ্গ আর সহযোগী সংগঠনের পদধারী বেশ কিছু নেতা। আর স্থানীয় সরকারপর্যায়ের ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান, আছেন সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরও।

দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচনের বিষয়ে এবার কিছুটা নরম সুরে কথা বললেও তা আওয়ামী লীগের জন্য হিতে বিপরীত হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সবভেবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়।

সময় সংবাদকে তিনি আরও বলেন,

দলের সভাপতি শেখ হাসিনা দলের মনোনয়ন দেয়ার আগে সবশেষ বৈঠকে (মনোনয়ন বোর্ড সভা) কিছু ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই বিষয়গুলো (স্বতন্ত্র প্রার্থী) সম্পর্কে কোনো কথা বলার বা সিদ্ধান্ত অকারে জানানোর আগে একটু আমাদের সময় দিতে, মনোনয়ন প্রত্যাহারের তারিখ পর্যন্ত। পরিবর্তিত কোনো ইঙ্গিত বা নির্দেশনা আসলে আমরা সে অনুসারে কাজ করবো।

চলতি মাসের ১৫ তারিখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।

তফসিল অনুযায়ী,

নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। গত ১ নভেম্বর থেকে এবারের নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। সে অনুসারে ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।

Exit mobile version