‘কামাল পাশা’য় কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘কামাল! তু নে কামাল কিয়া ভাই!’ সেই ‘কামাল’ দেখা গেল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে। আর্জেন্টাইন বিস্ময় বালক আলেহান্দ্রো গারনাচো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে এমনই এক ‘কামাল’ করা গোল করেছেন। পুরো বিশ্ব এখন সেই গোলে মাতোয়ারা হয়ে আছে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় প্রিমিয়ার লিগে এভারটনের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচটিতে ম্যানইউ জিতেছে ৩-০ গোলে। তবে এই জয়ের চেয়েও আলোচনায় বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে গারনাচোর গোল।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে দুর্দান্ত এক ওভারহেড কিক, যাকে বাইসাইকেল কিক বলা হয়, তেমনই এক কিকে গোল করেন ১৯ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আলেহান্দ্রো গারনাচো। খেলার শুরুতেই এমন গোলের পরে পুরো গ্যালারি কেবল মন্ত্রমুগ্ধের মতো চেয়েছিল গারনাচোর দিকে। আর গারনাচো তখন ব্যস্ত উদযাপনে। তিনি নিজের আদর্শ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো করেই সেটি উদযাপন করলেন।
এই গোলের পরে অনেকেই ওয়েইন রুনি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর প্রসঙ্গ তুলেছেন। তাদের মতো বাইসাইকেল কিকে গোল করা দেখে অবাক হয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগও। তবে তিনি গারনাচোকে তুলনা করতে চান না কারও সঙ্গে। তিনি বলেছেন,
দয়া করে তুলনা করবেন না। এটা ঠিক নয়। তার নিজস্ব পরিচয় আছে। গারনাচোকে বাকি দুজনের কাছে পৌঁছাতে এখনও অনেক পরিশ্রম করতে হবে। অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
এ দিকে তুলনা যাই হোক, গারনাচোর গোলকে সেরা গোল হিসেবেই দেখছেন ভক্তরা। আর এটি সেরার কাতারেই থাকবে, এই বিষয়ে হয়তো কারও আপত্তি করার কথা নয়! প্রিমিয়ার লিগও এই গোলকে বিশেষভাবে মনে রাখতে বাধ্য। এই একটি গোলই টুর্নামেন্টটির খ্যাতি আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। অবিশ্বাস্য এই গোলের পরে অনেকেই মনে করেন, কিছুটা রুনি, কিছুটা রোনালদোর প্রভাব থাকলেও পুরোটাই গারনাচোর কৃতিত্ব। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন,
আমি আসলে বিশ্বাসই করতে পারছি না। সত্য বলতে কীভাবে গোল করেছি, সেটি দেখিনি। আমি শুধু দর্শকদের চিৎকার শুনেছি।
এ দিকে গারনাচোর এই গোলের পরে আরও দুটি গোল পায় ম্যানইউ। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান ২-০ করেন মার্কাস রাশফোর্ড। আর ৭৫ মিনিটে সেটি বাড়িয়ে ৩-০ করেন অ্যান্থনি মার্শাল। এই জয়ের পরে ১৩ ম্যাচ শেষে ইউনাইটেডের পয়েন্ট এখন ২৪। তাতে অবস্থান হয়েছে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ১৩ ম্যাচে ৩০।