Homeরাজনীতিদলীয় নেতারা চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতেই পারে: ওবায়দুল কাদের

দলীয় নেতারা চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতেই পারে: ওবায়দুল কাদের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় নেতারা চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতেই পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তদের চিঠি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা থাকতে পারে কারো কারো৷ কৌশলগত কারণে দলের প্রয়োজনেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুমতি।

মনোনয়নপ্রাপ্তদের বিষয়ে তিনি বলেন, বিজয়ী হতে পারবে, এমন প্রার্থীদেরই মনোনয়ন দেয়া হয়েছে৷

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের চেষ্টা করছে সরকার৷ পরিবেশ বিঘ্নিত করছে বিরোধী দল৷ সরকারি দল কোনো সহিংসতা করছে না৷

তিনি বলেন, একটা বিশেষ দল অংশ নিলেই কি নির্বাচন বৈধ হয়ে যায়? তারা এলেই কি অংশগ্রহণমূলক হয়ে যায়? ২৫-৩০টি দল এবারের নির্বাচনে অংশ নেবে৷ বিএনপি অংশ না নিলেও, তাদের দলের কিছু নেতা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে৷

বিএনপি নির্বাচনে জিততে পারবে না বলেই ভোট এড়াতে চাচ্ছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই পরিষ্কার হবে বিএনপি থেকে কারা কারা নির্বাচনে আসবে৷

দুই আসনে প্রার্থী ঘোষণা না করার বিষয়ে তিনি বলেন, দলীয় কৌশলগত কারণেই দুটি আসনে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ৷ নির্বাচনী জোটের সুবিধা দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এখানে অ্যাডজাস্টমেন্ট-অ্যাকোমডেশনের বিষয় আছে৷ সেগুলো চূড়ান্ত করবে দল৷
এর আগে দুপুরে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র হস্তান্তরের মাধ্যমে কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

এদিকে স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের মৃত্যুবার্ষিকীতে সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, আসছে নির্বাচনে নতুন নতুন কৌশল নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন,

আমাদের মনোনয়ন বোর্ডের চেয়ারপার্সন, আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনা গতকাল গণভবনে প্রার্থীদের উদ্দেশে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেখানো কোনো কিছু অপরিষ্কার, অস্পষ্ট নেই। সবকিছু খোলামেলা বলে দিয়েছেন। সবকিছু স্পষ্ট করেছেন। তার যে গাইডলাইন সেই গাইডলাইন অনুযায়ী যারা প্রার্থী হতে চান, তিনিই ডামি প্রার্থীর কথা বলেছেন। কাজেই এ গাইডলাইন ফলো করে প্রার্থী হতে বাধা আছে বলে আমার জানা নেই। স্বয়ং সভাপতি গাইডলাইন দিয়েছেন।

রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কুষ্টিয়া-২ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।

গত ১৫ বছর ধরে হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়া-২ আসনের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুই উপজেলা ভেড়ামারা ও মিরপুরকে নিয়ে গঠিত কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসন।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনটি শহর ও বন্দর উপজেলা এলাকা নিয়ে গঠিত। এ আসনটি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১১নং ওয়ার্ড থেকে ২৭নং ওয়ার্ড এলাকা ও বন্দর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় পড়েছে।

২০০৮ সালে মহাজোটের শরিককে আসনটি ছেড়ে দেয়া হলে জাতীয় পার্টির নেতা এ কে এম নাসিম ওসমান বিজয়ী হন। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে পুনরায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী নাসিম ওসমান বিজয়ী হন। কিছুদিন পর এ কে এম নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর তার ছোট ভাই বিকেএমইএর সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালেও নির্বাচিত হন তিনি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন তিনি।

এবার নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন দলের তৃণমূলের পরীক্ষিত কর্মীর পাশাপাশি সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, চিকিৎসকসহ ১০৪ জন নতুন মুখ। এ তালিকায় আছেন রূপালি পর্দার জনপ্রিয় তারকা থেকে শুরু করে সঙ্গীতশিল্পী, ক্রিকেটার, আইনজীবীও।

আওয়ামী লীগের বর্তমান ৭১ জন সংসদ সদস্য এবার মনোনয়ন পাননি। এ তালিকায় আছেন তিন প্রতিমন্ত্রীও। মনোনয়ন না পেয়ে অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

Exit mobile version