গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে ইসরাইলি মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বৈঠকে বসে ইসরাইলি মন্ত্রিসভা।
সংশ্লিষ্ট এক সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পূর্ণাঙ্গ চুক্তির শর্তপূরণ সাপেক্ষে এর মেয়াদ বাড়াতে রাজি ইসরাইল সরকার।
সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে একটি শর্তানুযায়ী, হামাস যদি প্রতিদিন ১০ জন করে জিম্মিকে মুক্তি দেয়, তাহলে একদিন করে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। এই শর্তের কথাই বলেছে ইসরাইলের মন্ত্রিসভা।
অন্যদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, চলমান চারদিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হলেই ফিলিস্তিনের গাজায় পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করে হামলা শুরু করবে সেনাবাহিনী। একথা তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির মধ্যে এ পর্যন্ত তৃতীয় দফায় বন্দি বিনিময় হয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদন মতে, শুক্রবার যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ১৩ জন ইসরাইলি শিশু ও বৃদ্ধকে মুক্তি দেয়। অপরদিকে নারী-শিশুসহ ৩৯ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরাইল।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৫ নভেম্বর) যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিন হামাস নারী-শিশুসহ ১৩ জন ইসরাইলিকে মুক্তি দেয়। যার মধ্যে ছয়জন নারী ও সাতটি শিশু। বিপরীতে নারী ও শিশুসহ ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরাইল। যার মধ্যে ছয়জন নারী ও ৩৩ শিশু।
এরপর যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিন রোববার ( ২৬ নভেম্বর) তৃতীয় দফায় ১৩ ইসরাইলি ও ৪ বিদেশি নাগরিককে মুক্তি দেয় হামাস। আর তার বিনিময়েই আরও ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল।