উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের সরসপুর মধুমতি আদর্শ বিদ্যালয়ে ২০২৩ সালের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর মূল্যায়ন পরীক্ষায় ৪০০ টাকা ফী নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মূল্যায়ন পরীক্ষায় ফী নেওয়ার সরকারী নির্দেশনা না থাকলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো.মনিরুজ্জামান পান্নার বিরুদ্ধে এ ফী আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, সরেজমিনে জানা যায়, ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ৭১ জন ও ৭ম শ্রেণীতে ৫০ জন শিক্ষার্থী মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে।
৭ম শ্রেণীতে বাৎসরিক ২হাজার ৫০০ টাকা ও ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ২জাজার ৪৪০ টাকা নেওয়া হয়,তন্মধ্যে মাসিক বেতন যথাক্রমে ৬০ ও ৫৫টাকা, সেশন চার্জ ৭০০ টাকা,অর্ধ বার্ষিকী পরীক্ষার ফী ৪০০টাকা, স্কুল নীতিমালা ফী ১০০ টাকাও মূল্যায়ন পরীক্ষার ফী ৪০০ টাকা বলে জানান স্কুলের সহকারী শিক্ষক মিলটন শরীফ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এশাধিক অভিভাবক জানান, দ্রব্যমূল্যেও উর্ধ্বগতির পাশাপাশি স্কুলে যেভাবে টাকা নেওয়া শুরু করেছে তাতে না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে। ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা হয়তো বন্ধ করে দিতে হবে। সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া বন্ধের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান পান্না ও সহকারী শিক্ষক মিলটন শরীফ বলেন, মূল্যায়ন পরীক্ষায় ফী নেওয়া যাবেনা এমন নির্দেশনা আমরা পায়নি।তবে অতিরিক্ত টাকা না নেওয়ার নির্দেশনা তারা পেয়েছেন। মূল্যায়নপরীক্ষায় আনুষঙ্গীক কিছু খরচ থাকায় এ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ক্যাপ্টেন মোস্তাক আলী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। যদি এটা অনিয়মতান্ত্রিক হয়ে থাকে, তবে সব টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।