মোবাইল অপারেটরদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের সব ডেটা প্যাকেজ ৩ দিনের দামে না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগ তুলেছে খোদ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে মোবাইল অপারেটরদের দাবি, নির্দেশনা মেনেই বেশিরভাগ প্যাকেজের দাম কমানো হয়েছে। তাছাড়া কিছু ডেটা প্যাকেজের দাম নিয়ে এখনও বিশ্লেষণ চলছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের চাপে গত ১০ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে ৩ দিনের দামে ৭ দিনের ডেটা প্যাকেজ দেয়ার নির্দেশনা কার্যকর করেছে মোবাইল অপারেটররা।
ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, চার মোবাইল অপারেটরের বর্তমানে ৩০ থেকে ৩৯টি করে ডেটা প্যাকেজ রয়েছে। এরমধ্যে টেলিটকের ৭দিনের প্যাকেজ ১৩টি, যার দাম গড়ে ২১ টাকা থেকে ৯৭ টাকা; রবির ১৪টি প্যাকেজের দাম ৪৮ টাকা থেকে ৩০৯ টাকা; গ্রামীণফোনের ১২টি প্যাকেজের গড় দাম ৪৮ টাকা থেকে ২৪৯ টাকা; এবং বাংলালিংক গ্রাহকরা ৪৯ টাকা থেকে ২৪৯ টাকায় পাচ্ছেন ৭দিনের ডেটা প্যাকেজ।
ফলে নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দুই সপ্তাহ পর ৩ দিনের দামে ৭ দিনের সব প্যাকেজ অফার না করার বিষয়টি নজরে এসেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের। তিনি বলেন,
১৫ অক্টোবরের আগে যে দাম ছিলো সেই দামে নেয়ার জন্য তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পুরোপুরি কার্যকর করেনি। বিটিআরসিতে খোঁজ নিলেই দেখতে পারবেন। না মেনে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর জবাবে মোবাইল অপারেটররা বলছে, যেসব প্যাকেজ বর্তমানে গ্রাহককে অফার করা হচ্ছে তার অনুমোদন বিটিআরসিই দিয়েছে। ৭দিনের সব প্যাকেজ ৩দিনের দামে অফার করলে বড় ধরনের চাপ পড়বে মোবাইল অপারেটরদের রাজস্বে। তাই বিষয়টি নিয়ে বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
এ প্রসঙ্গে বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘বেশিরভাগই ৭ দিনের প্যাকেজেই ৩ দিনের দামে অফার করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর কিছু কিছু প্যাকেজের দাম বাড়ানো হয়েছিল, আবার কিছু কিছু প্যাকেজের দাম কমানো হয়েছিল। এখন বিটিআরসি বলছে, যে তোমরা সেটি কেন বাড়িয়েছো। আমরা এখনো প্যাকেজের দাম নিয়ে একটি পোর্টফলিও তৈরি করার চেষ্টা করছি, যাতে করে আমাদের ক্রেতারা সব সময় আমাদের সঙ্গে থাকেন।’
প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন প্রায় ১২ কোটি গ্রাহক।