অধিকৃত পশ্চিম তীরে ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনারা। শনিবার (২৫ নভেম্বর) ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার জেনিনে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
সেই সঙ্গে কাবতিয়া এলাকায় ২৫ বছর বয়সী একজন ফিলিস্তিনি চিকিৎসককে হত্যা এবং রামাল্লার নিকটবর্তী স্থানে আরও এক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়।
৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামাসের হামলার পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে বেড়েছে।
হামাসের হামলার পর থেকে পশ্চিম তীরে ৫২ শিশুসহ অন্তত ২২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাত স্থানীয় সময় ১টার দিকে কারাগারে বন্দি আরও ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসরাইলি কারাগার কর্তৃপক্ষ।
এর প্রায় দুই ঘণ্টা আগে ১৩ ইসরাইলি নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর পাশাপাশি চার বিদেশি নাগরিককেও মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক এক্স পোস্টে লিখেছেন, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রসের কাছে ১৩ জন ইসরাইলি ও চারজন বিদেশি নাগরিককে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে চার দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া এই যুদ্ধবিরতির মধ্যদিয়ে গাজায় ইসরাইলের বোমাবর্ষণ বন্ধ হয়ে যায়।
যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী প্রথমদিন স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় ১৩ জন ইসরাইলি ও ১২ জন থাই নাগরিককে মুক্তি দেয় হামাস। এর আড়াই ঘণ্টা পর কারাগার থেকে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরাইল।
তবে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে এসে বন্দিদের মুক্তি দিতে বিলম্ব করেছে হামাস। হামাসের অভিযোগ, ইসরাইল যুদ্ধবিরতি শর্ত ভঙ্গ করেছে, যার কারণে তারাও বন্দিদের মুক্তি দিতে দেরি করছে।