ঘূর্ণিঝড় ’মিধিলির’ প্রভাবে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় টানা বৃষ্টিতে ইরি ও বোরো ধানের বেশির ভাগ বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এতে দুশ্চিতায় কৃষকরা। বীজতলায় পানি জমে থাকায় বাধ্য হয়ে বাড়ি উঠানে বীজতলা তৈরি ধানের বীজ বপন করছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড মেঘা গ্রামের চাষী মতিন মিয়া। ইরি ও বোরো ধানের আবাদের জন্য বীজ বুনেন তিনি। ঘূর্ণিঝড় মিধিলি কেড়ে নেয় তার স্বপ্ন। যে ধান আবাদ কের বছরের আহার জোটে তার। ঝড়ের কারেণ টানা বৃষ্টিতে সেই ধানের বীজতলা এখনো ৩-৪ ফুট পানির নিচে। সবগুলো চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ধানের বীজ বপন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন মতিন।
একই অবস্থা কৃষক লুৎফুর রহমান ও মাহবুবসহ অনেকেরই। ১৭ নভেম্বর দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের হানার ৪-৫ দিন আগেই ইরি ও বোরো ধানের মৌসুমের জন্য তৈরি করেন বীজতলা। সেখানে ধানের বীজও ছিটান। নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টির কারণে চাটখিলসহ তলিয়ে যায় উপজেলার বেশির ভাগ বীজতলা। ঘূর্ণিঝড় কেটে যাওয়ার এতদিনেও বীজতলাগুলো থেকে পানি নামেনি।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে বীজতলা থেকে পানি নামছে না। এতে বিপাকে পড়েন কৃষকরা। বীজতলায় পানি জমে থাকায় বাধ্য হয়ে বাড়ি উঠানকে বীজতলা করে ধানের বীজ বপন করছেন কৃষকরা। কৃষক আব্দুল গণি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে বীজতলা এখনো পানির নিচে। বাধ্য হয়ে বাড়ির আঙিনায় বীজতলা তৈরি করেছি।’
বীজতলা ক্ষতিগ্রস্তের বিষয়ে জেলার চাটখিল উপেজলা কৃষি কর্মকর্তা জুনাইদ আলম বলেন, ‘বৃষ্টিতে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়া কৃষকদেরকে বীজ ও চারা দেয়া হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’
কৃষি সম্পসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি বছর ইরি ও বোরো মৌসুমে জেলার চাটখিল উপজেলায় বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৭০ হেক্টর। যার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৭ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমি।